পাঠকের কাছে অনুরোধঃ এটা একটা শিক্ষনীয় ব্লগ।এই ব্লগ/ওয়েবকে চটি সাইট মনে করার কোন অবকাশ নাই। আমাদের প্রতিদিনের জীবনে আমরা যৌনতা সম্পর্কে কি এবং কতটুকুই বা জানি? পশ্চিমা দেশের ১৬-১৮ বছরের ছেলে-মেয়েরা যৌনতার ব্যাপারে যা জানে, আমাদের দেশে বিয়ের ১৫ বছর পরে ও আমরা তা জানতে পারিনা, বুঝতে পারিনা। তাই আমার এই প্রচেষ্ঠা। এই ব্লগের লেখা দিয়ে যদি কারো কোন উপকার হয়, তাহলেই আমার কষ্ট সার্থক হবে। পুনশ্চঃ ব্লগটি চালু রাখতে, ডোনেশন করুন।আপনার ছোট্ট একটু কমেন্ট আমাকে অনেক প্রেরনা দেবে।দয়া করে Facebook এ একটা Like দিন। সবাইকে ধন্যবাদ।

রবিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১১

পুরুষের দুর্বলতা



পুরুষের দুর্বলতা বলতে যৌন অক্ষমতা বা যৌন আচরণে অতৃপ্তি, যৌন অসন্তোষ ইত্যাদি বোঝানো হয়ে থাকে। মূলত যৌন আচরণের যে দিকটি পুরুষের জন্য অত্যন্ত সপর্শকাতর তা হলো পুরুষাঙ্গ বা লিঙ্গের উত্থানে ব্যর্থতা। এটিকে আমরা অনেক সময় ইরেকটাইল ডিসফাংশন বলে থাকি। অবশ্য মেডিকেল টার্ম হিসেবে একে ইম্পোটেন্স বা পুরুষত্বহীনতাও বলা হয়ে থাকে। একজন পুরুষ যখন যৌনসঙ্গম বা যৌনমিলনের জন্য মনোশারীরিকভাবে প্রস্তুতি লাভ করে তখন যদি তার লিঙ্গ বা পুরুষাঙ্গ সঙ্গমের জন্য উপযুক্তভাবে উত্থিত না হয় তবে তা তার জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক। সন্তোষজনকভাবে সেক্স করার জন্য ইরেকশন বা লিঙ্গের পর্যাপ্ত উত্থান একটি বাধ্যতামূলক আচরণ। এর ফলে পুরুষের যৌন আগ্রহ বা যৌন ইচ্ছার যেমন ঘাটতি দেখা যায় তেমনি চরমপুলক অনুভূতি লাভও তার ভাগ্যে জোটে না। যে পুরুষ এর ভুক্তভোগী তিনিই কেবল জানেন এর কেমন মর্মপীড়া। অথচ মেডিকেল স্বাস্থ্যবিজ্ঞানে পুরুষত্বহীনতার অনেক আধুনিক কার্যকর চিকিৎসা রয়েছে। এখানে আলোচ্য যে ইরেকটাইল ডিসফাংশন বা লিঙ্গ উত্থানজনিত নানা সমস্যা যে কোনো বয়সের পুরুষের ক্ষেত্রেই হতে পারে। হঠাৎ করে দুএকবার লিঙ্গ উত্থিত না হওয়া কোনো বড় সমস্যা নয়। এটি আপনাআপনি দূর হয়ে যায়।
ফিজিশিয়ানরা সাধারণত ইম্পোটেন্স বা পুরুষত্বহীনতার টার্মটির পরিবর্তে ইরেকটাইল ডিসফাংশন টার্মটি বেশি ব্যবহার করে থাকেন, কেননা এটি ইম্পোটেন্সির চেয়েও অনেক ব্যাপক অর্থ বহন করে। পুরুষের যৌনকর্মের মানে যে কেবল পুরুষাঙ্গের ইরেকশন বা উত্থান হওয়া তা কিন্তু নয়, এর সঙ্গে মনোগত এবং আবেগজনিত অনেক ফ্যাক্টরই জড়িত। পুরুষত্বহীনতা শব্দটির সঙ্গে যেহেতু অনেক নেতিবাচক ধারণা জড়িত তাই ইরেকটাইল ডিসফাংশন টার্মটি আমরা ব্যবহার করব। শারীরিক বা দৈহিক নানা কারণে যেমন লিঙ্গ উত্থানে সমস্যা হতে পারে ঠিক তেমনি মানসিক সমস্যার কারণে বা আবেগজনিত বা সাইকোসেক্সুয়াল (মানসিক যৌন সমস্যা) ইত্যাদির কারণেও পুরুষত্বহীনতা হতে পারে। যে কারণেই হোক না কেন ডায়াগনোসিস বা রোগনির্ণয় হচ্ছে সবার আগে। সঠিক চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার জন্য পুরুষত্বহীনতার জন্য উপযুক্ত কারণ খুঁজে বের করে তবেই তার চিকিৎসা করতে হবে। এ নিবন্ধে আমরা লিঙ্গ উত্থানজনিত নানা সমস্যা যেমন-
  • কেন হয়
  • এ সমস্যার কী কী উপসর্গ রয়েছে
  • কখন এ সমস্যা বেশি হয়
  • কোন কোন ক্ষেত্রে এ সমস্যার ঝুঁকি বেশি থাকে
  • কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত
  • ইরেকটাইল ডিসফাংশনের জন্য কী কী পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রয়োজন
  • এর আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা
  • এটি কীভাবে প্রতিরোধ করবেন
  • প্রচলিত মেডিকেশন/ওষুধ
  • সার্জারির মাধ্যমে চিকিৎসা এবং
অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোকপাত করব
লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যার কারণ
ইরেকশন প্রবলেমের জন্য মূলত দুই ধরনের কারণ দায়ী। ফিজিক্যাল বা শারীরিক কারণ : (এটি সাধারণত রক্তনালি সম্পর্কীয় বা নার্ভের সাথে সম্পর্কিত)
সাইকোলজিক্যাল বা মনোগত কারণ ঃ নানা ধরনের মানসিক বিকারজনিত কারণে পুরুষত্বহীনতা অনেক ক্ষেত্রেই ঘটে থাকে।
আবার অনেকের লিঙ্গ উত্থানজনিত নানা সমস্যার পেছনে রক্তনালি, নার্ভ বা স্নায়ু, নানা ধরনের সাইকোলজিক্যাল বা মানসিক কারণজনিত ফ্যাক্টর দায়ী থাকতে পারে।
শারীরিক নানা কারণের মাঝে রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা, ইনজুরি বা আঘাত, অপারেশনজনিত কারণে জটিলতা যেমন-প্রস্টেট সার্জারিজনিত সমস্যা ইত্যাদি। এসব সমস্যার কারণে পেনিসে পর্যাপ্ত পরিমাণে স্নায়বিক সংবেদী তাড়না ও রক্তপ্রবাহ বিঘ্নতা ঘটে থাকে। এখানে একটি কথা বলে রাখা প্রয়োজন ইরেকশন হলো এক ধরনের ভাসকুলার বা রক্তনালিতে পর্যাপ্ত রক্ত সংবহনজনিত ঘটনা। যদি স্নায়ুতন্ত্র যৌনশিহরণের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ সিগন্যাল বা সংকেত পাঠাতে না পারে তাহলে পেনিসের রক্তনালিগুলোতে ইরেকশনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণে রক্ত আসে না ফলে লিঙ্গ উত্থান ঘটে না।
গবেষণা সমীক্ষায় প্রতীয়মান হয়েছে যে শতকরা ৪৮ ভাগ ক্ষেত্রে পুরুষত্বহীনতার মূল কারণ ভাসকুলার বা রক্তনালি সম্বন্ধীয় নানা সমস্যা। শতকরা ১৪ ভাগ ক্ষেত্রে পুরুষত্বহীনতার ক্ষেত্রে নার্ভকে দায়ী করা হয়েছে। নানা ধরনের নিউরোলজিক বা স্নায়বিক সমস্যার কারণে যৌন অক্ষমতা ঘটতে পারে। শতকরা ৩ ভাগ ক্ষেত্রে পেনিসের কাঠামো অথবা এর পার্শ্ববর্তী কোষকলাকে ইরেকশনের প্রবলেমের জন্য দায়ী করা হয়েছে।
কতক ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াজনিত কারণে যেমন-যারা উচ্চরক্তচাপবিরোধী ওষুধ সেবন করছেন বা বিষণ্নতাবিরোধী ওষুধ সেবন করছেন তাদের ক্ষেত্রেও সাময়িক যৌন অক্ষমতা ঘটতে পারে। হরমোনাল ফ্যাক্টরস বা হরমোনের তারতম্যজনিত কারণে পুরুষত্বহীনতার শিকার অনেকেই হতে পারে।
  • জিঙ্কের স্বল্পতাজনিত কারণে অনেকের পুরুষত্বহীনতা হতে পারে। সাধারণত শতকরা ৫০ ভাগ ক্ষেত্রে পুরুষত্বহীনতার কারণ হিসেবে শারীরিক অসুস্থতাগুলোকেই দায়ী করা হয়ে থাকে।
  • দৈহিক বা শারীরিক অসুস্থতার জন্য যেমন ইরেকশন বা লিঙ্গ উত্থানের সমস্যা হতে পারে ঠিক তেমনি মনোগত নানা সমস্যায়ও যৌন অক্ষমতা হতেই পারে। এগুলোর মাঝে রয়েছে ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতা, অ্যাংজাইটি বা দুশ্চিন্তা, মনোদৈহিক চাপ বা স্ট্রেস, দীর্ঘমেয়াদি অনুশোচনাবোধ অথবা নারী-পুরুষের আন্তঃসম্পর্কজনিত নানা সমস্যা। এসব নানা সমস্যায় যৌনসঙ্গম বা যৌনমিলনের সময় পুরুষ একটু অন্যমনস্ক হয়ে থাকে ফলে স্বাভাবিক যৌনতার জন্য যে শিহরণ লাভ করা উচিত তার মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কমে যায়। ফলে ইরেকশন বা লিঙ্গ উত্থান ঘটে না।
  • সাইকোলজিক্যাল নানা সমস্যার জন্য শতকরা ৪০ ভাগেরও বেশি ক্ষেত্রে ইরেকশন বা লিঙ্গ উত্থানে সমস্যা হয়।
  • যেসব পুরুষের বয়স ৫০ বছরের নিচে তাদের ইরেকশন বা লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যার মূল কারণ সাইকোলজিক্যাল বা মানসিক সমস্যা।
  • নারী-পুরুষের মাঝে আন্তঃসম্পর্কজনিত নানা দ্বন্দ্ব, দাম্পত্য কলহ, দুজনের মাঝে অন্তরঙ্গ সম্পর্কের অনুপস্থিতি, একজন আরেকজনের নিকট নানা ব্যক্তিগত বিষয় গোপন করা ইত্যাদি নানা কারণে যৌন পার্টনারদের মাঝেও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার এটাও ঠিক যে কোনো পুরুষ যদি নির্দিষ্ট কোনো নারীর প্রতি যৌন আগ্রহ বা যৌন ইচ্ছা হারিয়ে ফেলে তার ক্ষেত্রেও ইরেকশনের সমস্যা হতে পারে। যে পুরুষের হঠাৎ করে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে তারও লিঙ্গ উত্থানে সমস্যা হতে পারে।
  • কতক পুরুষের আবার স্ত্রীর প্রথম সন্তান জন্মের পর সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্সে কতক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যার নানা উপসর্গ
পুরুষের পুরুষাঙ্গ যখন উত্থিত না হয় তখন লিঙ্গ সম্পর্কীয় কতক উপসর্গ দেখা দিয়ে থাকে। এগুলো হলো-
  • পুরুষ ইচ্ছা করলে পার্টনারের উপস্থিতিতে বা অনুপস্থিতিতে লিঙ্গ উত্থান ঘটাতে পারে না। এর মানে হলো পুরুষ যদি পার্টনারের অনুপস্থিতিতে হস্তমৈথুন করতে চায় তথাপিও তাদের লিঙ্গ উত্থিত হয় না।
  • একবার ইরেকশন বা লিঙ্গ উত্থান হলেও উত্থানজনিত অবস্থা একেবারে ধরে রাখতে না পারা। এর ফলে লিঙ্গ একবার শক্ত হলেও একটু পরে আবার আগের মতো স্বাভাবিক নরম অবস্থায় চলে যায়।
  • যৌনসঙ্গম বা ইন্টারকোর্সের সময় সঙ্গমকে পরিপূর্ণতা দান করতে বা সঙ্গমে সন্তুষ্টি লাভ করতে যে পরিমাণ ইরেকশনের প্রয়োজন তা না হওয়া।
  • যৌন আগ্রহ বা যৌন ইচ্ছা ইত্যাদিতেও ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
  • পুরুষের চরমপুলকজনিত ব্যর্থতা এবং বীর্যস্খলনজনিত নানা সমস্যাও একই সঙ্গে বিরাজ করতে পারে। কখন এ সমস্যা বেশি হয়বেশির ভাগ পুরুষের প্রফেশনাল বা হঠাৎ করে দু-একবার লিঙ্গ উত্থানের সমস্যা হতে পারে। কিন্তু এই লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যা যখন দীর্ঘমেয়াদি রূপ লাভ করে এবং অব্যাহত থাকে তখনই তা ব্যক্তির ব্যক্তিত্বের ওপরে এবং ব্যক্তির যৌনজীবনে নানা ধরনের শঙ্কা ও নেতিবাচক অনুভূতির জন্ম দেয়। এখানে একটি কথা বিশেষভাবে বলা দরকার। একবার যাদের লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যা হয়ে পড়ে তারা বারবার মনে করতে থাকে পরের বার যৌনমিলনে সমস্যাটি বুঝি আবার হবে। এই অতিরিক্ত আগাম যৌন দুশ্চিন্তার কারণে যৌনমিলনের সময় লিঙ্গ উত্থান নাও ঘটতে পারে। একে আমরা বলি পারফরমেন্স অ্যাংজাইটি। এই অ্যাংজাইটিজনিত কারণে সমস্যা অনেক বেড়ে যেতে পারে। আবার অনেক পুরুষ রয়েছে যাদের যৌনসঙ্গমকালীন সময়ে লিঙ্গ ঠিকই উত্থিত হলো কিন্তু বর্ধিত যৌনচাপের কারণে সাথে সাথেই বীর্যস্খলিত হয়ে গেল। এরও মূল কারণ অ্যাংজাইটি, এটাকে বলে প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন। আবার কতক পুরুষ রয়েছে যাদের সন্তোষজনক যৌনসঙ্গমের জন্য অনেকক্ষণ লিঙ্গকে যোনির ভেতরে ক্রমাগতভাবে ঢুকাতে এবং বের করতে হয়। অনেকের ক্ষেত্রে এটি পুরুষাঙ্গে ব্যথার উদ্রেক করতে পারে। যেহেতু এ ধরনের পুরুষদের ইজাকুলেশন বা বীর্যস্খলনে অনেক সময় প্রয়োজন হয় তাই তারা এ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। কেননা বীর্যস্খলিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এরা চরমপুলক লাভ করতে পারে না।
এত কিছুর পরেও সৌভাগ্যের কথা এই যে পুরুষত্বহীনতা বা যৌন অক্ষমতার জন্য শারীরিক ও মানসিক যে কারণই দায়ী হোক না কেন উপযুক্ত এবং বর্তমানে প্রচলিত আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়।


কোন কোন ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি থাকে
অনেকগুলো মেডিকেল ফ্যাক্টর রয়েছে যেগুলো পুরুষের মাঝে উপস্থিত থাকলে যৌন অক্ষমতা বা পুরুষত্বহীনতার ঝুঁকি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি বাড়ে। একটু আগেই আলোচনা করা হয়েছে যে পুরুষত্বহীনতার জন্য রক্তনালি সম্পর্কীয় নানা অসুখ বা স্নায়ুবিক বা নার্ভ সম্পর্কীয় অসুখ ইত্যাদি দায়ী থাকতে পারে। যেসব শারীরিক কারণে পুরুষত্বহীনতার ঝুঁকি বাড়ে সেগুলোর কয়েকটি নিচে বর্ণনা করা হলো-
  • ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগঃ যেসব পুরুষের ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ রয়েছে তাদের অনেকেই পুরুষত্বহীনতায় ভুগে থাকে। গবেষণা সমীক্ষায় প্রতীয়মান হয়েছে যে ডায়াবেটিস রোগ নির্ণীত হওয়ার ৫ বছরের ভেতরে প্রায় শতকরা ৫০ ভাগ ক্ষেত্রে পুরুষত্বহীনতার অভিজ্ঞতা লাভ করে।
  • উচ্চরক্তচাপ ঃ যেসব পুরুষ উচ্চরক্তচাপে ভোগে তাদের বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রক্তনালির ভেতরের লুমেন্ট বা গহ্বরে কোলেস্টেরল জাতীয় পদার্থ জমা হয়ে ভেতরে সেপস বা জায়গা কমিয়ে দেয়। ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণ রক্ত এর ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে না। এ কারণেও ইরেকশন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • রক্তনালি সম্পর্কীয় অসুখ।
  • স্ট্রোক বা মস্তিষেক রক্তক্ষরণ।
  • রক্তে উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল বিশেষত অল্প ঘনত্বমাত্রার কোলেস্টেরল। এখানে আলোচ্য যে যেসব কোলেস্টেরল বেশি ঘনত্বের মাত্রার হয়ে থাকে সেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
  • যৌন অঙ্গগুলোর স্বাভাবিক বিকাশ এবং কার্যকারিতার জন্য যেসব হরমোনের প্রয়োজন সেগুলোর লেবেল যদি কম থাকে এ মেডিকেল জটিলতাটিকে আমরা বলি হাইপোগনাট ডিজম। এর ফলে রক্তে টেস্টোস্টেরন হরমোনের লেবেল আশঙ্কাজনকভাবে কমে যায়। ফলে ইরেকশনে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে।
  • থাইরয়েড গ্রন্থি বা গ্ল্যান্ডের নানা সমস্যার জন্য ইরেকশনে সমস্যা হতে পারে।
  • মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস নামক স্নায়বিক অসুখটিতেও পুরুষত্বহীনতা একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
  • পেনিস বা পুরুষাঙ্গের কোনো ধরনের আঘাত বা শ্রোণি চক্রের কোনো ধরনের ইনজুরির জন্য এ সমস্যা হতে পারে।
  • পেলভিস বা শ্রোণি চক্রের সার্জারি বা অস্ত্রোপচার।
  • রেডিয়েশন ট্রিটমেন্ট বা রঞ্জনরশ্মির সাহায্যে চিকিৎসা।
  • উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য যেসব ওষুধ সেবন করা হয় তাদের কতকগুলোতে যৌন অক্ষমতা দেখা দিতে পারে।
  • অ্যান্টিডিপ্রেশান্ট বা বিষণ্নতারোধী কতক ওষুধ সেবনেও ইরেকশনের সমস্যা হতে পারে।
  • ডাইইউরেটিক বা মূত্রবর্ধক ওষুধ সেবনেও সাময়িকভাবে ইরেকশনের সমস্যা হতে পারে।
  • যারা দীর্ঘমেয়াদি অ্যালকোহল অ্যাবিউজ বা মদ্যপান করে থাকেন তাদের কতকের যৌন অক্ষমতা দেখা দিতে পারে।
  • ড্রাগ অ্যাডিক্স বা মাদকাসক্তের মাঝেও যৌন অক্ষমতার প্রবণতা অপেক্ষাকৃত বেশি।
  • যারা অতিমাত্রায় ধূমপান করেন তাদের ক্ষেত্রেও পুরুষত্বহীনতা বিরল ঘটনা নয়। এতক্ষণ আমরা পুরুষত্বহীনতা যেসব শারীরিক কারণে ঘটে সেগুলোর কথা বললাম। এবার আসা যাক সাইকোলজিক্যাল বা মনোগত কী কী সমস্যায় ইরেকশনের ঝুঁকি বাড়ে।
  • ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতা।
  • অ্যাংজাইটি বা দুশ্চিন্তা বা উদ্বেগরোগ।
  • আন্তঃসম্পর্কজনিত দ্বন্দ্ব সমস্যা (রিলেশনশিপ প্রবলেম)।
  • সাম্প্রতিক জীবনে বড় ধরনের পরিবর্তন যেমন-বাচ্চার জন্মদান, চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ, চাকরি পরিবর্তন, কোনো অন্তরঙ্গ পার্টনারকে হারানো, অন্তরঙ্গ পার্টনারের মৃত্যু, বিবাহবিচ্ছেদ ইত্যাদি কারণেও ইরেকশনের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।
কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন
ইরেকশন বা লিঙ্গ উত্থানে সহায়তা করে এ রকম কোনো মেডিকেশন বা ওষুধ সেবনে (ইনজেকশন বা অন্য কোনো ওষুধ) চার ঘণ্টার চেয়ে বেশি স্থায়ীভাবে ইরেকশন থাকে তবে জরুরি ভিত্তিতে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। নিম্নোক্ত মেডিকেল জটিলতায় ইরেকশনের সমস্যা হতে পারে-
  • পা, পশ্চাদ্দেশে বা পেনিসে অথবা শুক্রাশয়ে কোনো ধরনের ইনজুরি বা আঘাত।
  • যৌনাঙ্গ এলাকায় চুল বা বগলের নিচে হঠাৎ করে চুলের পরিমাণে হ্রাস পেলে এবং স্তনের বৃদ্ধি ঘটলে। ওপরের জটিলতাগুলোতে ফিজিশিয়ানের পরামর্শ নেয়া অত্যন্ত জরুরি।
  • যদি এক থেকে দুই সপ্তাহের মাঝে শতকরা ২৫ ভাগ ক্ষেত্রে আপনার ইরেকশন না হয় এবং সাথে নিচের উপসর্গ বা লক্ষণগুলো থাকে তাহলেও ভালো ফিজিশিয়ানের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন।
  • ইরেকশনের সমস্যাটি যদি পশ্চাদ্দেশে অবিরত ব্যথাসহকারে হয়ে থাকে।
  • লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যা যদি নতুন কোনো ওষুধ সেবনজনিত কারণে অথবা ওষুধের ডোজের পরিবর্তনজনিত কারণে হয়ে থাকে।
  • যে কোনো ধরনের সমস্যা যাতে আপনার আত্মইমেজ পরিবর্তিত হয়/ নিজের সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা জন্মে।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণ যত্ন নেয়ার পরেও যদি সমস্যার কোনো সমাধান না ঘটে।
  • আপনার যদি ইরেকশন প্রবলেমের সাথে সমন্বিত হয়ে মূত্রতন্ত্র সম্পর্কীয় কোনো সমস্যা, তলপেটে ব্যথা বা পশ্চাদ্দেশের নিচের দিকে ব্যথা, জ্বর অথবা আঘাতজনিত কারণে অন্য কোনো উপসর্গ থাকে তাহলেও জরুরি ভিত্তিতে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন।
হঠাৎ করে দুই-একবার ইরেকশন বা লিঙ্গ উত্থান না ঘটা সাময়িক হতে পারে। এটি আশা করা যায় ধীরে ধীরে আগের অবস্থায় ফিরে যাবে। তাই এক্ষেত্রে আগেই ধারণা করা উচিত নয় যে উত্থানজনিত সমস্যাটি আবারও ঘটবে। যদি সম্ভব হয় তবে উত্থানজনিত যে সমস্যাটি ঘটেছিল সেটির কথা ভুলে যান এবং পরবর্তীতে আপনি আরো সুখকর যৌনানুভূতি লাভ করবেন-মনে মনে এমন ধারণা পোষণ করুন। যৌন পার্টনারের সঙ্গে আপনার সমস্যা নিয়ে, যৌন আচরণে আপনার কোনো ভয়-ভীতি বা দুশ্চিন্তা থাকলে একেবারে খোলামেলা আলাপ-আলোচনা করুন। এতে অনেক বিষয়ে ডাক্তারের সহায়তা ব্যতীত একটি ভালো পারসপরিক সমঝোতায় পৌঁছানো যায়।
যদি দুই সপ্তাহের ভেতরে আপনাদের সমস্যাটির সমাধান না হয় এবং প্রতি চারবারে একবার করে ইরেকশনের সমস্যা হয় তবে এ বিষয়ে কোনো প্রফেশনাল বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত। একটি গবেষণা সমীক্ষায় দেখা গেছে যে অনেক পুরুষ তাদের পুরুষত্বহীনতা বা যৌন অক্ষমতার বিষয়টি সেক্স পার্টনারের নিকট কৌশলে এড়িয়ে যেতে চান এবং অনেক দিন ভোগার পর গোপনে গোপনে ডাক্তারের পরামর্শ নেন। এ বিষয়ে সঠিক পরামর্শ হলো আপনার যদি ইতিমধ্যে দীর্ঘমেয়াদি ইরেকশন বা উত্থানজনিত সমস্যা থাকে তাহলে সব রকম লাজলজ্জা ঝেড়ে আপনার সেক্স পার্টনারকে খুলে বলুন এবং প্রথমে একজন ইউরোলজিস্ট ও তাতে কোনো শারীরিক কারণ খুঁজে না পাওয়া গেলে সাইকিয়াট্রিস্ট বা মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অতি সত্বর নিন।
এ বিষয়ে কতক হেল্‌থ প্রফেশনাল রয়েছে। যেমন-সাধারণ ফিজিশিয়ান, মেন্টাল হেল্‌থ প্রফেশনাল। কতক ক্ষেত্রে দেখা যায় যৌনতাবিষয়ক এবং ইরেকশন সম্পর্কিত নানা আলোচনায় তারা এসব প্রফেশনালের সামনে এক ধরনের অস্বস্তি এবং অস্বাচ্ছন্দ্যবোধে ভুগে থাকে। ফলে তারা তাদের মূল যৌন সমস্যার কথা ডাক্তারের কাছে মুখ খুলে বলতে পারে না। অবশ্য এটা ঠিক যে ডাক্তার এবং রোগী উভয়ের কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকতে পারে। অনেক সাধারণ ফিজিশিয়ানসহ মানসিক রোগবিশেষজ্ঞ রয়েছেন যারা নিজেরাও যৌনতা নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যভাবে খোলামেলা আলাপ-আলোচনা করতে পারেন না।
আপনার ইরেকশন প্রবলেম বা লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যা যদি সাইকোলজিক্যাল বা মানসিক সমস্যার কারণে হয়ে থাকে তবে আপনার নিম্নোক্ত হেল্‌থ প্রফেশনালের পরামর্শ নেয়া উচিত।
  • সাইকিয়াট্রিস্ট বা মনোরোগ বিশেষজ্ঞ
  • সাইকোলজিস্ট বা মনোবিজ্ঞানী
  • সেক্স কাউন্সিলর
  • কাপল বা মেরিটাল থেরাপিস্ট (দাম্পত্য সম্পর্কীয় বিশেষজ্ঞ)
ইরেকশন ডিসফাংশনে কী কী পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রয়োজন
ইরেকশন বা লিঙ্গ উত্থানঘটিত সমস্যা দূরীকরণে প্রথমত যা করা দরকার তা হচ্ছে উত্থানে ব্যর্থতার সঠিক কারণ খুঁজে বের করা। একটু আগেই উল্লেখ করেছি সাইকোলজিক্যাল বা মনোগত কারণ এবং ফিজিক্যাল বা শারীরিক কারণ যে কোনোটিতেই ইরেকশন সম্পর্কীয় সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেহেতু মনোদৈহিক নানা কারণ এর সঙ্গে জড়িত তাই এর সঠিক রোগনির্ণয় একটু জটিল।
সঠিক মূল্যায়নের জন্য একজন অভিজ্ঞ হেল্‌থ প্রফেশনাল সাধারণভাবে নিম্নোক্তভাবে এগিয়ে থাকেন-
আপনার লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যা থাকলে তার সাথে সমন্বিত হয়ে কী কী ঝুঁকিজনিত ফ্যাক্টর রয়েছে তা খুঁজে বের করা।
  • আপনার সম্পূর্ণ সেক্সুয়াল বা যৌনতার ইতিহাস নেয়া।
  • সম্পূর্ণ শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা (বিশেষত পেট, পেনিস বা পুরুষাঙ্গ, প্রস্টেট বা পুরুষগ্রন্থি, রেক্টাম/মলাশয় এবং শুক্রাশয় ইত্যাদি)।
  • রক্তের টেস্টোস্টেরন, প্রোলাক্টিন এবং থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা পরীক্ষা করা।
  • ডায়াবেটিস রয়েছে কিনা রক্তের গ্লুকাজের মাত্রা ও প্রস্রাব পরীক্ষা করা।
  • নিদ্রাকালীন লিঙ্গ উত্থান ঘটে কিনা এবং লিঙ্গ পর্যাপ্ত পরিমাণে দৃঢ় থাকে কিনা তা পরীক্ষা করা। এটিকে পূর্বে ‘স্ট্যাম্প টেস্ট’ বলা হতো।
  • বড় কোনো ধরনের সাইকোলজিক্যাল বা মনোগত কারণ রয়েছে কিনা তা জানার জন্য সম্পূর্ণ মানসিক বা সাইকোলজিক্যাল মূল্যায়ন পরীক্ষা করে দেখা দরকার।
এসব নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ডায়াগনোসিস করা সম্ভবপর হবে আপনার পুরুষত্বহীনতার বা যৌন অক্ষমতার পেছনে মূলত কোন কারণটি দায়ী। এর ওপর ভিত্তি করে আপনার ডাক্তার মেডিকেশন বা ওষুধ বা অপারেশন (শল্য চিকিৎসা) কোনটি নিতে হবে তা নির্ধারণ করবেন।
কতক পুরুষের আবার পেনিসে রক্তসংবহনকারী ধমনি এবং শিরা পরীক্ষা করতে হয়। এসব পরীক্ষায় এক ধরনের ইন্ট্রাকেভার্নাস বা ইন্ট্রাইউরেথ্রাল ইনজেকশন দেয়ার প্রয়োজন হতে পারে। স্নায়ুতন্ত্র সম্পর্কীয় কোনো ধরনের জটিলতা রয়েছে কিনা তাও ভালোভাবে খতিয়ে দেখতে হবে। আলট্রাসনোগ্রাফি এবং রক্তনালির একটি পরীক্ষা যাকে এনজিওগ্রাফি বলে তার মাধ্যমে মোটামুটি একটা ধারণা পাওয়া যেতে পারে। পেনিসে সংবহনকারী রক্তনালিগুলোকে যদি মেরামত করার প্রয়োজন হয়ে পড়ে তাহলে সার্জারির মাধ্যমে তা করা সম্ভবপর।
তবে এটা ঠিক যে পুরুষত্বহীনতার সঠিক কারণটি খুঁজে বের করা একটি জটিল প্রক্রিয়া। এটি করার জন্য আজ পর্যন্ত সরাসরি কোনো স্ক্রিনিং টেস্ট বা পরীক্ষা আবিষকৃত হয়নি।


ইরেকটাইল ডিসফাংশনে ট্রিটমেন্ট
লিঙ্গ উথানজনিত সমস্যা বা ইরেকশন প্রবলেমের জন্য নানা ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা রয়েছে তবে এটি নির্ভর করে পুরুষত্বহীনতা কী কারণে হলো তার ওপর। যদি মনোগত কারণে লিঙ্গঘটিত সমস্যা হয় তবে মনোরোগ বিশেষজ্ঞই এর সঠিক চিকিৎসা করতে পারে। শারীরিক বা ফিজিওলজিক্যাল কারণে যদি ইরেকশন সম্পর্কীয় সমস্যা হয় তাহলে তার মূল চিকিৎসা করেন ইউরোলজিস্ট বা মূত্র ও জননতন্ত্র বিশেষজ্ঞ। কতক রোগীদের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে ইরেকশনের সাথে জড়িত রয়েছে মনোদৈহিক উভয় রকমের মেডিকেল জটিলতা। সে ক্ষেত্রে সার্বিকভাবে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ এবং ইউরোলজিস্টের তত্ত্বাবধানে একত্রে চিকিৎসা নেয়া বাঞ্ছনীয়।
শুরুতে আমরা আলোচনা করেছিলাম ডাক্তাররা ইম্পোটেন্স বা পুরুষত্বহীনতার পরিবর্তে ইরেকটাইল ডিসফাংশন টার্মটিকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন। একজন পুরুষের যৌনক্রিয়া কেবল পেনিসে ইরেকশন নয়, এর সঙ্গে মনোদৈহিক নানা জটিল যৌন আচরণ জড়িত। পুরুষত্বহীনতার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে অনেকগুলো নেতিবাচক ধ্যান-ধারণা।
চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় অনেক দিক বিবেচনা করে দেখা হয় রোগীর বয়স কত, রোগের তীব্রতা কেমন, যৌনতা সম্পর্কে রোগীর দৃষ্টিভঙ্গি কেমন, যৌন পার্টনারের সাথে তার সম্পর্ক, তারা কী কী যৌন আচরণ করে থাকে, যৌনসঙ্গমের পূর্বে তারা সঙ্গমবহির্ভূত যৌন আচরণ করে কিনা ইত্যাদি সবকিছু মূল্যায়ন করে উপযুক্ত চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা প্রয়োগ করা হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ডাক্তাররা চেষ্টা করেন ননসার্জিক্যাল বা অপারেশন না করে ওষুধ দিয়ে বা মানসিক কারণ দায়ী থাকলে সেক্স থেরাপি দিয়ে চিকিৎসা করতে। অগত্যা যদি সার্জারি অত্যাবশ্যকীয় হয়ে দাঁড়ায় সে ক্ষেত্রে ইউরোলজিস্টরা শল্য চিকিৎসা করে থাকেন। নানা ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার মধ্যে রয়েছে-
  • ইরেকশন বা লিঙ্গ উত্থানের জন্য কেভারজ্যাক্ট নামক ইনজেকশন অথবা মিউস নামক এক ধরনের পদার্থ যা পেনিসে ঢোকাতে হয় এগুলোর মাধ্যমে খুব সহজেই লিঙ্গ উত্থান ঘটে থাকে।
  • আপনি যদি কোনো ওষুধ সেবন করে থাকেন এবং ওষুধ সেবনজনিত কারণে ইরেকশনের সমস্যা দেখা দেয় তবে ডাক্তার আপনার জন্য ওষুধটি বদলিয়ে অন্য কোনো ওষুধ প্রেসক্রাইব করতে পারেন।
  • নানা ধরনের ভ্যাকুয়াম বা খালিকরণ সংকোচনক্ষম ডিভাইস দিয়ে চিকিৎসা।
  • পেনাইল ইমপ্ল্যান্টস (সার্জারির মাধ্যমে একপ্রকার চিকিৎসা)
মনোগত কারণে যদি আপনার পুরুষত্বহীনতা ঘটে থাকে তবে অবশ্যই আপনার প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণ সেক্সুয়াল কাউন্সিলিং। অবশ্য ফিজিক্যাল ডিসঅর্ডারের জন্য যৌন অক্ষমতায় ভুগছে এমন অনেক পুরুষের জন্যও সাইকোথেরাপি বা আচরণগত চিকিৎসার গুরুত্ব অপরিসীম। প্রায় সময়ই দেখা যায় শারীরিক কারণের পাশাপাশি সাইকোলজিক্যাল কারণও পুরুষত্বহীনতার সাথে জড়িত থাকতে পারে।
তবে এটা ঠিক যে ইরেকশন প্রবলেম বা লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যার সঠিকভাবে সংজ্ঞায়িত করা এবং পরিমাপ করা যেহেতু জটিল তাই কোন চিকিৎসা পদ্ধতি কতটুকু কার্যকর তার সঠিক পরিসংখ্যান এখনো পর্যন্ত নির্ধারিত হয়নি। তবে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে গড়পড়তা হিসেবে দেখা গেছে ইনজেকশন দিয়ে চিকিৎসা শতকরা ৮০ ভাগ ক্ষেত্রে কার্যকর হতে পারে। তবে সাইকোলজিক্যাল চিকিৎসা যেহেতু দীর্ঘমেয়াদি তাই উচিত রোগীর পর্যাপ্ত ধৈর্যসহকারে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সার্বিক তত্ত্বাবধানে থেকে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া।
অনেক পুরুষেরই আবার যৌনতার এই ব্যাপারটি নিয়ে একটু ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। তারা একবার লিঙ্গ উত্থান ঘটার পরেও সাবলীলভাবে যৌন সম্পর্ক চালিয়ে যেতে পারে না। পাঠকদের জানার জন্য বলা হয় যে একবার যৌনসঙ্গম করার পর পুরুষের পেনিস কিছু সময়ের জন্য আপাত ঘুমন্ত অবস্থায় বিরাজ করে। এ সময়ে লিঙ্গ উত্থিত হয় না। তাই এটিকে কেউ যদি যৌন অক্ষমতা মনে করেন তাহলে তিনি মারাত্মক ভুল করছেন। এই সময়টিতে সেক্স পার্টনারকে নিয়ে আউটার কোর্স বা সঙ্গমবহির্ভূত যৌন আচরণে যেমন-চুমু দেয়া, একজন অন্যজনকে অন্তরঙ্গভাবে জড়িয়ে ধরা, স্তনে এবং শরীরের নানা অংশে মেসেজ করা, মৃদু চাপ্পড় ইত্যাদি করতে পারেন। দেখা যাবে একটু সময় পেরিয়ে যাবার পর পেনিস ধীরে ধীরে আবার উত্থিত হবে। তাই পুরুষদের এ ব্যাপারটি নিয়ে মাথা না ঘামানোই উচিত।
সেক্স থেরাপি বা সেক্সুয়াল কাউন্সিলিং এক্ষেত্রে যদিও পুরুষকে ঘিরে তথাপি সেক্স পার্টনারের সহযোগিতা এবং সক্রিয় অংশগ্রহণও একটি আলোচ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। সেক্স পার্টনারের সঙ্গে কলহ, মনের মিল না থাকা, একজন অন্যজনকে তীব্রভাবে সন্দেহ করা, ঘৃণা, বিদ্বেষ, ক্ষোভ ইত্যাদি থাকলে অবশ্যই মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত।


লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যার প্রতিকার
লিঙ্গ উত্থানজনিত নানা সমস্যার প্রতিকারের ক্ষেত্রে প্রথমত যা করা দরকার তা হলো অন্তরঙ্গ সম্পর্ক স্থাপন বা যৌনমিলনের পূর্বে রিলাক্সড বা শিথিল থাকা। যৌন দুশ্চিন্তা এড়িয়ে চলা। বিবাহের প্রারম্ভিক পর্যায়ে স্ত্রীর সঙ্গে নানা ধরনের যৌন আচরণে পুরুষের মনে অনেক ধরনের ভয়-ভীতি বিরাজ করতে পারে। তাদের উচিত যৌনতা সম্পর্কে স্বাচ্ছন্দ্য, সাবলীল এবং স্বাস্থ্যকর দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলা। যৌনতা সম্পর্কে নেতিবাচক অনুভূতিগুলো এবং মনোভাবগুলো যৌন সম্পর্ক স্থাপনের পূর্বে ধীরে ধীরে মন থেকে সরিয়ে ফেলা দরকার। সেক্সুয়াল অন্তরঙ্গতা বা যৌনমিলনের পূর্বে স্ত্রীর সঙ্গে যৌন উত্তেজনাকর নানা ধরনের খোলামেলা আলাপচারিতা, সোহাগি ভঙ্গিতে স্ত্রীকে আদর করা এবং একে অপরের সঙ্গে সবকিছু শেয়ার করা ইত্যাদি লিঙ্গ বা পেনিসের উত্থানকে অনেক দৃঢ় করবে।
যে কথাটি মনে রাখা প্রয়োজন তা হলো-যৌন আচরণ মানে কেবল যৌনসঙ্গম নয়। এটি যৌন আচরণের একটি অংশ। আপনি এবং আপনার সেক্স পার্টনার যদি যৌনমিলনের পূর্বে প্রেম নিবেদনের সময় একে অপরের সঙ্গে খোলামেলা যৌন আলাপে এবং হাল্কামাত্রার হাসি-ঠাট্টামূলক খেলাচ্ছলে যৌনক্রীড়া করেন তবে এটি আপনাদের স্ট্রেস বা মনোদৈহিক চাপ এবং যৌন দুশ্চিন্তা কমাতে অনেক সহায়তা করবে। এতে করে আপনি এবং আপনার পার্টনার যৌনমিলনে আগের চেয়ে অনেক বেশি সুখকর অনুভূতি সঞ্চার করতে পারেন।বয়োবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ইরেকশনে একটু সমস্যা হওয়া বা একবার ইরেকশন হওয়ার পর তা ধরে রাখা একটু কষ্টকর হতে পারে। তথাপি যৌনমিলনের পূর্বে যৌনক্রীড়া এবং যৌনমিলনের উপযুক্ত মানসিক পরিবেশ আপনার লিঙ্গ উত্থানকে অব্যাহত রাখবে।
লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যার মেডিকেশন বা ওষুধযেসব মেডিকেশন বা ওষুধের মাধ্যমে লিঙ্গ উত্থান ঘটতে পারে সেগুলো মূলত পুরুষত্বহীনতার মূল ডায়াগনোসিস বা কারণের ওপর নির্ভর করে। রক্তসংবহনতন্ত্র বা ভাসকুলার, হরমোনাল, স্নায়ুতন্ত্র সম্পর্কীয় বা সাইকোলজিক্যাল (মনোগত কারণ) যে কারণে লিঙ্গ উত্থানে সমস্যা হয় এদের প্রত্যেকটিরই খুব ভালো চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা রয়েছে।
আমার দীর্ঘ চিকিৎসা জীবনে দেখেছি ওষুধ চিকিৎসার পাশাপাশি বেশির ভাগ রোগীকে সেক্সুয়াল কাউন্সিলিং (সাইকোথেরাপি) এবং সেক্স থেরাপি বেশ ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখে। অবশ্য এসব ক্ষেত্রে দৈহিক কারণের পাশাপাশি মানসিক কারণও দায়ী থাকতে পারে।
লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যাটি যদি ওষুধ সেবনজনিত কারণে হয়ে থাকে তবে আপনার ডাক্তার ওষুধের ডোজ পরিবর্তনের কথা ভাবতে পারেন অথবা ওষুধ বদলিয়ে অন্য কোনো গ্রুপের মেডিকেশন প্রেসক্রাইব করতে পারেন। ওষুধ সেবনজনিত কারণে যদি সাময়িকভাবে আপনার লিঙ্গ উত্থানে সমস্যা ঘটে তবে হুট করে ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত ওষুধ সেবন বন্ধ করে দেবেন না। প্রকৃত অর্থেই ওষুধ সেবনের জন্য এই সমস্যা হচ্ছে কিনা তা অভিজ্ঞ ডাক্তারই বলতে পারবেন।


ওষুধ দিয়ে চিকিৎসার মূল উদ্দেশ্য হলো
  • মেডিকেশন বা ওষুধজনিত কারণে ইরেকশন বা লিঙ্গ উত্থানের তারতম্য ঘটলে ওষুধ নতুন করে অ্যাডজাস্ট করতে হবে বা নতুন কোনো ওষুধ দিয়ে তাতে পরিবর্তন আনতে হবে।
  • ইরেকশন বা লিঙ্গ উত্থান ঘটাতে সহায়তা করে এমন ওষুধ দিয়ে পেনিস বা লিঙ্গে রক্তপ্রবাহ বাড়াতে হবে।
  • যৌনমিলনের পূর্বে লিঙ্গের উত্থান নিয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বিশেষত পারফরমেন্স অ্যাংজাইটি কমাতে হবে। অনেক রোগীর ক্ষেত্রে সেই বিশেষকালীন কী ঘটবে সে দুশ্চিন্তায় লিঙ্গ উত্থান নাও হতে পারে। আপনার রক্তে হরমোনের লেবেল বিশেষত টেস্টোস্টেরন থাইরয়েড হরমোন ইত্যাদি পরীক্ষা করে দেখা দরকার। পরীক্ষা করে যদি অস্বাভাবিক হরমোন লেবেল পরিলক্ষিত হয় তাহলে হরমোনাল থেরাপির প্রয়োজন দেখা দিতে পারে। অবশ্য হরমোনের তারতম্যজনিত কারণে লিঙ্গ উত্থানের সমস্যা খুব বেশি একটা পাওয়া যায় না।
ডাক্তার আপনাকে যেসব মেডিকেশন প্রেসক্রাইব করতে পারেন সেগুলো হলো-
  • লিঙ্গ উত্থানে সহায়তাকারী মেডিকেশন যেমন-কেভারজ্যাক্ট, মিউস ইত্যাদি।
  • হরমোনাল থেরাপি বা বাইরে থেকে হরমোন দিয়ে চিকিৎসা।
  • ভায়াগ্রা বা সিলডেনাফিল হাইড্রোক্লোরাইড।
  • ইয়মবিন দিয়ে চিকিৎসা।
  • অবশ্য ডাক্তার খালিকরণ ডিভাইস বা যন্ত্র এবং ইনজেকশন থেরাপি কোনটি দিয়ে চিকিৎসা চালাবেন তা তিনি নিজেই নির্ধারণ করবেন।
ইরেকশনের চিকিৎসা (সার্জারি)
ইরেকশন বা লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যায় যখন মেডিকেশন বা ওষুধ সাইকোথেরাপি বা আচরণগত চিকিৎসা ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয় এবং রোগীর দৈহিক কোনো কারণ নির্ধারণ করা সম্ভবপর হয় তখন ডাক্তার আপনাকে সার্জারির পরামর্শ দিতে পারেন।
এই সম্পর্কিত সার্জারি বা শল্য চিকিৎসাগুলো করে থাকেন ইউরোলজিস্ট বা মূত্র এবং জননতন্ত্র বিশেষজ্ঞরা।সম্প্রতি পরিচালিত আমেরিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে পিনাইল ইমপ্ল্যান্টস (প্রতিস্থাপন) শতকরা ৮০-৯০ ভাগ পুরুষত্বহীনদের জীবনে অত্যন্ত কার্যকর এবং সাফল্যজনক ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে।কতক পুরুষের ক্ষেত্রে আবার পেনিস বা লিঙ্গে রক্ত সংবহনকারী নালিতে এক ধরনের চিকিৎসা করা হয়। এটিকে আমরা রিপেয়ার থেরাপি বলে থাকি। যদি রক্তসংবহননালির কোনো অসুখের জন্য এমনটি হয়ে থাকে তাহলে সেটিকে শল্য চিকিৎসার মাধ্যমে সারানো যেতে পারে। অনেক যুবকের ক্ষেত্রে দেখা যায় কোনো ধরনের ইনজুরি বা আঘাতের কারণে রক্তনালি ক্ষতিগ্রস্ত হলে যেমন-বাস বা মোটরসাইকেল অ্যাক্সিডেন্ট তখন এ ধরনের সার্জারি খুব কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। তবে এই ধরনের রিপেয়ার শল্য চিকিৎসা অভিজ্ঞ ইউরোলজিস্টের হাতে করানোই সমীচীন। অন্যথায় হিতে অহিত হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।


তাহলে দেখা যাচ্ছে সার্জারির মাধ্যমে মূলত ইরেকশনের যে চিকিৎসা প্রয়োগ করা হয় সেগুলো হলো-
  • পেনাইল ইমপ্ল্যান্টস (প্রতিস্থাপন)
  • পুরুষাঙ্গে রক্তসংবহননালিতে সার্জারি (রিপেয়ার থেরাপি)সব রকমের মেডিকেশন বা ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা ও সাইকোথেরাপি বা আচরণগত চিকিৎসা প্রয়োগ করার পর সার্জারির বিভিন্ন ধরনের বিপজ্জনক ঝুঁকি চিন্তা করে তবেই ডাক্তার আপনাকে শল্য চিকিৎসার পরামর্শ দেবেন। রক্তসংবহননালির রিপেয়ার থেরাপির নামে যে সার্জারির কথা বলা হলো সেগুলো কেবল রিভাসকুলারাইজেশন সেপশালিস্টরাই করে থাকেন।
ইরেকটাইল ডিসফাংশনের অন্যান্য চিকিৎসা
ইতিমধ্যে লিঙ্গের উত্থানজনিত সমস্যায় অনেক চিকিৎসা পদ্ধতি আলোচনা করা হয়েছে। অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতি মূলত পূর্বের চিকিৎসার পদ্ধতিগুলোরই সামান্য রূপান্তর বা মোডিফিকেশন। এগুলোর মাঝে রয়েছে বিশেষ ধরনের খালিকরণের বা ভ্যাকুয়াম ডিভাইস এবং বিশেষ সাইকোথেরাপি (সেক্স থেরাপি)।
ভ্যাকুয়াম ডিভাইস বা খালিকরণ যন্ত্রের মাধ্যমে সব প্রকারের লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যার চিকিৎসা করা সম্ভব (ফিজিক্যাল বা শারীরিক, মনোগত সমস্যা এবং মিশ্র সমস্যা)
যেসব পুরুষের ইরেকশন বা লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যা মূলত মনোগত কারণে হচ্ছে তাদের ক্ষেত্রে সাইকোথেরাপি বা আচরণগত চিকিৎসা অত্যন্ত কার্যকর। এই চিকিৎসা থেরাপি অন্যান্য মেডিকেশন দিয়ে চিকিৎসা বা খালিকরণ ডিভাইসের পাশাপাশি চলতে পারে। তবে এর জন্য প্রয়োজন প্রচুর সেক্সুয়াল কাউন্সিলিং। আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত সেক্সুয়াল কাউন্সিলিংয়ের জন্য আলাদাভাবে সেক্স থেরাপিস্ট গড়ে ওঠেনি। এ জন্য সেক্স সমস্যার কাউন্সিলিং এখানে করে থাকেন অভিজ্ঞ মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞরা।
এক ধরনের শারীরিক ব্যায়াম রয়েছে যাকে বলা হয় পেলভিক ফ্লোর এক্সারসাইজ। এ সম্পর্কে আমরা নানা প্রবন্ধে আলোচনা করেছি। এটি অনেকটা কেজেল এক্সারসাইজের মতো, অনেক পুরুষের লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যায় এটি ভালো কাজ করে থাকে। সবচেয়ে বড় কথা হলো এই ব্যায়ামগুলোর বিপজ্জনক ঝুঁকি নেই। তবে এতে কাজ না হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। তাহলে অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতিতে মূলত যা দাঁড়ায় তা হলো-
  • ভ্যাকুয়াম ডিভাইস বা খালিকরণ যন্ত্র
  • সাইকোথেরাপি বা সেক্সুয়াল কাউন্সিলিং
  • সেক্স থেরাপি
আপনার জন্য কোন চিকিৎসা পদ্ধতি কার্যকরভাবে ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখবে তা আপনার ফিজিশিয়ানই নির্ধারণ করবেন।   
নেট থেকে                                                                                                              

1 টি মন্তব্য:

  1. পুরুষ এবং মহিলাদের যাবতীয় যৌনসমস্যা চিরতরে নির্মূলের জন্য সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সাফল্য দেখিয়েছে হোমিওপ্যাথি চিকিত্সা বিজ্ঞান। হোমিওতে একবার একটা সমস্যা ভালো হয়ে গেলে তা আর দ্বিতীয়বার দেখা দেয় না। এ সংক্রান্ত আরো বিস্তারিত জানতে নিচের সাইটগুলিতে চোখ রাখুন।
    http://www.adhunikhomeopathy.com
    http://homeosexsolution.blogspot.com

    উত্তরমুছুন

Twitter Bird Gadget