পাঠকের কাছে অনুরোধঃ এটা একটা শিক্ষনীয় ব্লগ।এই ব্লগ/ওয়েবকে চটি সাইট মনে করার কোন অবকাশ নাই। আমাদের প্রতিদিনের জীবনে আমরা যৌনতা সম্পর্কে কি এবং কতটুকুই বা জানি? পশ্চিমা দেশের ১৬-১৮ বছরের ছেলে-মেয়েরা যৌনতার ব্যাপারে যা জানে, আমাদের দেশে বিয়ের ১৫ বছর পরে ও আমরা তা জানতে পারিনা, বুঝতে পারিনা। তাই আমার এই প্রচেষ্ঠা। এই ব্লগের লেখা দিয়ে যদি কারো কোন উপকার হয়, তাহলেই আমার কষ্ট সার্থক হবে। পুনশ্চঃ ব্লগটি চালু রাখতে, ডোনেশন করুন।আপনার ছোট্ট একটু কমেন্ট আমাকে অনেক প্রেরনা দেবে।দয়া করে Facebook এ একটা Like দিন। সবাইকে ধন্যবাদ।

বুধবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১১

ম্যাস্টারবেশান বা হস্তমৈথুন

ম্যাস্টারবেশান বা হস্তমৈথুন , একটা খুবই সাধারন যৌনাচারন। এটিকে ঘিরে আমাদের চারপাশে হাজারো অন্ধবিশ্বাস আর কুসংস্কার। সপ্তদশ শতাব্দীর খ্রিস্টধর্ম যাজকরা এটিকে ‘এক ঘৃণিত বিকৃত পাপ’ বলে আখ্যায়িত করেন, অস্টাদশ শতাব্দীতে চিকিৎসকরাই এটিকে চিহ্নিত করেন ‘এক ভয়াবহ ক্ষয়কারী ব্যধি’ হিসেবে। পুরো উনবিংশ শতাব্দী জুরে আজকের যুগের এইডস/ক্যান্সারের মত ভয়াবহ আতঙ্ক নিয়ে চিকিৎসা জগতে অবস্থান নিয়েছিল এ ম্যাস্টারবেশান বা
হস্তমৈথুন। বিংশ শতাব্দীর ত্রিশের দশকে এটিকে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক যৌনাচার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। ষাটের দশকে আবিষ্কৃত হয় “এ ম্যাস্টারবেশান বা হস্তমৈথুন হতে পারে নানান যৌন অক্ষমতার ক্ষেত্রে কার্যকর চিকিৎসা প্রক্রিয়া”। 
অথচ আমাদের প্রেক্ষাপট?
দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীটের শেষবর্ষের ছাত্রটি এখনও এ সমস্যা(?) নিয়ে প্রচার সর্বস্ব হারবাল বা দাওয়াখানার শরণাপন্ন হয়ে থাকে। যেখানে দেশের শিক্ষিত যুবকটির এ প্রতারনার শিকার সেখানে দেশের অশিক্ষিত অর্ধশিক্ষিতদের অবস্থা যে অনেকবেশি করুন হবে তা তো সহজেই অনুমেয়। (ম্যাস্টারবেশান বা হস্তমৈথুন করার পরে অপরাধবোধ হলে, তা সাইকোসোমাটিক রোগে পরিনত হতে পারে ) 

ফাইজুল হক  এর নেট থেকে

1 টি মন্তব্য:

Twitter Bird Gadget