আধো বোল ছেড়ে কথা বলতে শুরু করতে না করতেই আপনার বাচ্চা দুম করে জানতে চাইতে পারে, 'মা, আমি কিভাবে হলাম?' কি উত্তর দেবেন আপনি ? হয়তো আপনার বাচ্চা বড় হয়ে পা দিয়েছে বয়:সব্ধিতে । ওকে খুব অচেনা লাগছে আজকাল। এড়িয়ে চলছে আপনাকে। রেগে যাচ্ছেন ওর কিছু আচরনে । আপনার হাত-পা বাধা। কিছুই করার নেই আপনার? হয়তো ক্লাস নাইনের মেয়ে জানতে চাইছে একান্তে, 'মাসিক /মিন্স ব্যাপারটা আসলে কি?
কেন এমন হয়? কি বলবেন? হয়তো মানসিক ভাবে ম্যাচিওরড হওয়ার আগেই শরীরে খুব বাড়ছে আপনার মেয়ে। খুব ভয় করছে আপনার। কখন কি বিপদ ঘটে যায়।চুপ করে থাকবেন? নাকি কিভাবে ব্যাপারটা বলা যায় ওকে, ভাবতে ভাবতেই কাটিয়ে দেবেন সময়? বিয়ে ঠিক হয়েছে মেয়ের। বিয়ের ঠিক আগে ও জানতে চাইছে 'সেফ পিরিয়ড' কোনটা? এড়িয়ে যাবেন? লজ্জা পেয়ে সরে যাবেন? নাকি নিজেকে দুষবেন নিজেই ব্যাপারটা জানেন না বলে?
না, আপনাকে অস্বস্তিতে ফেলতে চাইছি না ।শুধু জীবনের একান্ত জরুরি এক বিশেষ শিক্ষা সর্ম্পকে আপনাকে সচেতন করে তোলার উদ্দেশ্য নিয়েই এই লেখা। জরুরি ব্যাপারটা হল 'সেক্স এডুকেশন' বাংলায় বিজ্ঞান ভিত্তিক যৌন শিক্ষা। এই শিক্ষার সব চাইতে সুন্দর নাম হতে পারে "ফ্যামিলি লাইফ এডুকেশন" বাংলায় "পারিবারিক জীবনের শিক্ষা"। কি ভাবছেন? এসব আবার কেনো? ভয় পাবেন না, বাজারি সেক্স ম্যানুয়াল পড়তে বলা হচ্ছেনা আপনাকে। শুধু মাত্র জেনে বুঝে নিতে বলা হচ্ছে জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সেক্সকে ।
এর বিকল্প নেই । সেক্স নিয়ে আজও আমাদের সমাজে যে ব্যাপক শুচি বাতিকগ্রস্ততা, তা আসলে ভাবের ঘরে চুরি, এক ধরনের চরম ভন্ডামি জীবনের জরুরি একটা বিষয়কে "নিষিদ্ধ আপেল" বানিয়ে রেখে যতই বালিতে মুখ গুজে থাকি আমরা, আজকের সময় তার নিজের মতো করে উশুল করে নিচ্ছে এই না-জানা-না-বোঝার দাম, সুদে মুলে।বাড়ছে বিয়ের আগে এবরসন আর এর নানা জটিলতা।সিফিলিস,গনোরিয়ার পাশাপাশি এইডস এর রোগী বাড়ছে আপনার- আমার দেশে । চারপাশে লাফদিয়ে বাড়ছে সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট - এর ঘটনা। এমন একটা বিপন্ন সময়ে "সেক্স এডুকেশন" এর কোন বিকল্প নেই।
বয়:সন্ধির সমস্যায় বাবা-মায়েরা কি করবেন ??
বয়:সন্ধি সব ছেলেমেয়ের জীবনে এক ধরনের পরীক্ষা। শরীর-মনে দ্রুত লয়ে ঘটতে থাকা পরিবর্তন গুলোর সংগে মানিয়ে উঠতে না পেরে এই সময় ছেলেমেয়েরা শরীর-মনে নানা সমস্যার মুখোমুখি হয়। ওদের এই বিশেষ সমস্যাগুলোকে জেনে বুঝে নিন,সমস্যা কাটিয়ে উঠতে ওদের পাশে থাকুন বন্ধুর মতো। ওদের মনের দ্বিধাদ্বন্দ্ব গুলোকে এড়িয়ে যাবেন না। সহানুভুতির সংগে ওদের সমস্যাগুলো বুঝুন। ওদের সংগে আলোচনা করুন খোলাখুলি, বন্ধুর ভুমিকা নিন। ছেলেদের সমস্যায় বাবা আর মেয়েদের সমস্যায় মা হতে পারেন সবচাইতে গুরুত্বপুর্ন মুশকিল আসান।
বয়:সন্ধির সমস্যা আর মনস্তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা করুন, বইপত্র পড়ুন, সুস্থ্-স্বাভাবিক জীবনবোধের আলোয় ছেলে মেয়ের মধ্যে সুস্থ্ যৌন চেতনা গড়ে তুলতে পারেন অনেকটাই।
প্রজন্মবাহিত ভুল ধারনা,সংস্কার আর অন্ধকার ভুলেও ছেলেমেয়ের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে ওদের সর্বনাশ করবেন না। যৌনতা "নোংরা',"নিষিদ্ধ" বা "খারাপ" কোনও ব্যাপার নয়, এ হল জীবনের স্বাভাবিক এক অংগ।নিজের ভুল আগে শুধরে নিন, তারপর ছেলে-মেয়েদের শেখান। "ছেলেদের সংগে মেয়েদের বন্ধুর মতো মেশা খারাপ" নয় , এরকম সুস্থ সম্পর্ক যৌবনের সমস্যা কমায়।পিরিয়ডের রক্ত "বদরক্ত" নয়, এতে "পাপ" ধুয়ে বেরিয়ে আসেনা। এ হল যৌবনের স্বাভাবিক এক শারীর বৃত্তীয় ঘটনা।
যৌবনের পরিবর্তন গুলোর বিজ্ঞানকে জেনে বুঝে নিন।এরপর ছেলেমেয়েদের বোঝান।
কথায় কথায় তর্ক করা বা বড়দের অগ্রাহ্য করার প্রবনতা এ বয়সে থাকবেই। উত্তেজিত হবেননা, ছেলেমেয়েকে মারধর করতে যাবেন না। এতে সমস্যা জটিল হয়,তাই ওদের ভালোটা ওদের বুঝিয়ে বলুন। সুস্থ বিতর্কে অংশ নিন।
ওদের নিজস্ব জগতে ঢুকতে চাইবেন না। ওদের কল্পনার জগতটাকে ভেংগে দেবেন না। ওদের জগতটাকে আপনি আপনার ছাঁচে গড়তে চাইলে ওদের ভবিষ্যত ক্ষতিগ্রস্ত হবেই।
১৫-১৬ বছরে মা মেয়েকে বুঝিয়ে দিন
(১) যৌনতার বাস্তবতা
(২) শরীর-মনের সম্পর্ক
(৩)পিরিয়ড/মাসিক/মিন্স এর বিজ্ঞান
(৪) অতি যৌনতার বিপদ
(৫) ব্যক্তিগত সর্তকতা।
১৫-১৬ বছরে বাবা ছেলেকে বুঝিয়ে দিন
(১)যৌনতার বাস্তবতা
(২) অতি যৌনতার বিপদ
(৩) পর্নোগ্রাফিক ফাঁদ, অতিরঞ্জন আর অসারতা
(৪)যৌন রোগের বিস্তার আর বিপদ।
১৭-১৮ বছরে ছেলেকে ও মেয়েকেবুঝিয়ে দিন
(১) জন্মরোধের ব্যবস্থাগুলো সম্পর্কে
(২) প্রাকবিবাহ মেলামেশার বিপদ নিয়ে
(৩) মারাত্মক যৌন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ার বিপদ সম্পর্কে
(৪) সতর্ক করুন নেশা বা মাদকাসক্তির বিপদ সম্পর্কে ।
ছেলে বা মেয়েকে হস্তমৈথুন (Masturbation)-এ রত বা পর্নোগ্রাফির বইপত্র পড়তে দেখে ফেললে তখনকার মত সরে যান। তখনই বকাবকি বা শাসন করতে যাবেন না। পরে সময় করে ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা করুন ছেলে মেয়ের সংগে। যুক্তি দিয়ে, বিজ্ঞানের আলোয়। আদেশ বা নির্দেশ নয়, ভালবাসা দিয়ে।
নেট থেকে
কেন এমন হয়? কি বলবেন? হয়তো মানসিক ভাবে ম্যাচিওরড হওয়ার আগেই শরীরে খুব বাড়ছে আপনার মেয়ে। খুব ভয় করছে আপনার। কখন কি বিপদ ঘটে যায়।চুপ করে থাকবেন? নাকি কিভাবে ব্যাপারটা বলা যায় ওকে, ভাবতে ভাবতেই কাটিয়ে দেবেন সময়? বিয়ে ঠিক হয়েছে মেয়ের। বিয়ের ঠিক আগে ও জানতে চাইছে 'সেফ পিরিয়ড' কোনটা? এড়িয়ে যাবেন? লজ্জা পেয়ে সরে যাবেন? নাকি নিজেকে দুষবেন নিজেই ব্যাপারটা জানেন না বলে?
না, আপনাকে অস্বস্তিতে ফেলতে চাইছি না ।শুধু জীবনের একান্ত জরুরি এক বিশেষ শিক্ষা সর্ম্পকে আপনাকে সচেতন করে তোলার উদ্দেশ্য নিয়েই এই লেখা। জরুরি ব্যাপারটা হল 'সেক্স এডুকেশন' বাংলায় বিজ্ঞান ভিত্তিক যৌন শিক্ষা। এই শিক্ষার সব চাইতে সুন্দর নাম হতে পারে "ফ্যামিলি লাইফ এডুকেশন" বাংলায় "পারিবারিক জীবনের শিক্ষা"। কি ভাবছেন? এসব আবার কেনো? ভয় পাবেন না, বাজারি সেক্স ম্যানুয়াল পড়তে বলা হচ্ছেনা আপনাকে। শুধু মাত্র জেনে বুঝে নিতে বলা হচ্ছে জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সেক্সকে ।
এর বিকল্প নেই । সেক্স নিয়ে আজও আমাদের সমাজে যে ব্যাপক শুচি বাতিকগ্রস্ততা, তা আসলে ভাবের ঘরে চুরি, এক ধরনের চরম ভন্ডামি জীবনের জরুরি একটা বিষয়কে "নিষিদ্ধ আপেল" বানিয়ে রেখে যতই বালিতে মুখ গুজে থাকি আমরা, আজকের সময় তার নিজের মতো করে উশুল করে নিচ্ছে এই না-জানা-না-বোঝার দাম, সুদে মুলে।বাড়ছে বিয়ের আগে এবরসন আর এর নানা জটিলতা।সিফিলিস,গনোরিয়ার পাশাপাশি এইডস এর রোগী বাড়ছে আপনার- আমার দেশে । চারপাশে লাফদিয়ে বাড়ছে সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট - এর ঘটনা। এমন একটা বিপন্ন সময়ে "সেক্স এডুকেশন" এর কোন বিকল্প নেই।
বয়:সন্ধির সমস্যায় বাবা-মায়েরা কি করবেন ??
বয়:সন্ধি সব ছেলেমেয়ের জীবনে এক ধরনের পরীক্ষা। শরীর-মনে দ্রুত লয়ে ঘটতে থাকা পরিবর্তন গুলোর সংগে মানিয়ে উঠতে না পেরে এই সময় ছেলেমেয়েরা শরীর-মনে নানা সমস্যার মুখোমুখি হয়। ওদের এই বিশেষ সমস্যাগুলোকে জেনে বুঝে নিন,সমস্যা কাটিয়ে উঠতে ওদের পাশে থাকুন বন্ধুর মতো। ওদের মনের দ্বিধাদ্বন্দ্ব গুলোকে এড়িয়ে যাবেন না। সহানুভুতির সংগে ওদের সমস্যাগুলো বুঝুন। ওদের সংগে আলোচনা করুন খোলাখুলি, বন্ধুর ভুমিকা নিন। ছেলেদের সমস্যায় বাবা আর মেয়েদের সমস্যায় মা হতে পারেন সবচাইতে গুরুত্বপুর্ন মুশকিল আসান।
বয়:সন্ধির সমস্যা আর মনস্তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা করুন, বইপত্র পড়ুন, সুস্থ্-স্বাভাবিক জীবনবোধের আলোয় ছেলে মেয়ের মধ্যে সুস্থ্ যৌন চেতনা গড়ে তুলতে পারেন অনেকটাই।
প্রজন্মবাহিত ভুল ধারনা,সংস্কার আর অন্ধকার ভুলেও ছেলেমেয়ের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে ওদের সর্বনাশ করবেন না। যৌনতা "নোংরা',"নিষিদ্ধ" বা "খারাপ" কোনও ব্যাপার নয়, এ হল জীবনের স্বাভাবিক এক অংগ।নিজের ভুল আগে শুধরে নিন, তারপর ছেলে-মেয়েদের শেখান। "ছেলেদের সংগে মেয়েদের বন্ধুর মতো মেশা খারাপ" নয় , এরকম সুস্থ সম্পর্ক যৌবনের সমস্যা কমায়।পিরিয়ডের রক্ত "বদরক্ত" নয়, এতে "পাপ" ধুয়ে বেরিয়ে আসেনা। এ হল যৌবনের স্বাভাবিক এক শারীর বৃত্তীয় ঘটনা।
যৌবনের পরিবর্তন গুলোর বিজ্ঞানকে জেনে বুঝে নিন।এরপর ছেলেমেয়েদের বোঝান।
কথায় কথায় তর্ক করা বা বড়দের অগ্রাহ্য করার প্রবনতা এ বয়সে থাকবেই। উত্তেজিত হবেননা, ছেলেমেয়েকে মারধর করতে যাবেন না। এতে সমস্যা জটিল হয়,তাই ওদের ভালোটা ওদের বুঝিয়ে বলুন। সুস্থ বিতর্কে অংশ নিন।
ওদের নিজস্ব জগতে ঢুকতে চাইবেন না। ওদের কল্পনার জগতটাকে ভেংগে দেবেন না। ওদের জগতটাকে আপনি আপনার ছাঁচে গড়তে চাইলে ওদের ভবিষ্যত ক্ষতিগ্রস্ত হবেই।
১৫-১৬ বছরে মা মেয়েকে বুঝিয়ে দিন
(১) যৌনতার বাস্তবতা
(২) শরীর-মনের সম্পর্ক
(৩)পিরিয়ড/মাসিক/মিন্স এর বিজ্ঞান
(৪) অতি যৌনতার বিপদ
(৫) ব্যক্তিগত সর্তকতা।
১৫-১৬ বছরে বাবা ছেলেকে বুঝিয়ে দিন
(১)যৌনতার বাস্তবতা
(২) অতি যৌনতার বিপদ
(৩) পর্নোগ্রাফিক ফাঁদ, অতিরঞ্জন আর অসারতা
(৪)যৌন রোগের বিস্তার আর বিপদ।
১৭-১৮ বছরে ছেলেকে ও মেয়েকেবুঝিয়ে দিন
(১) জন্মরোধের ব্যবস্থাগুলো সম্পর্কে
(২) প্রাকবিবাহ মেলামেশার বিপদ নিয়ে
(৩) মারাত্মক যৌন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ার বিপদ সম্পর্কে
(৪) সতর্ক করুন নেশা বা মাদকাসক্তির বিপদ সম্পর্কে ।
ছেলে বা মেয়েকে হস্তমৈথুন (Masturbation)-এ রত বা পর্নোগ্রাফির বইপত্র পড়তে দেখে ফেললে তখনকার মত সরে যান। তখনই বকাবকি বা শাসন করতে যাবেন না। পরে সময় করে ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা করুন ছেলে মেয়ের সংগে। যুক্তি দিয়ে, বিজ্ঞানের আলোয়। আদেশ বা নির্দেশ নয়, ভালবাসা দিয়ে।
নেট থেকে
আমাদের জন্য এটা খুব উপকারি একটা পোস্ট
উত্তরমুছুন