পাঠকের কাছে অনুরোধঃ এটা একটা শিক্ষনীয় ব্লগ।এই ব্লগ/ওয়েবকে চটি সাইট মনে করার কোন অবকাশ নাই। আমাদের প্রতিদিনের জীবনে আমরা যৌনতা সম্পর্কে কি এবং কতটুকুই বা জানি? পশ্চিমা দেশের ১৬-১৮ বছরের ছেলে-মেয়েরা যৌনতার ব্যাপারে যা জানে, আমাদের দেশে বিয়ের ১৫ বছর পরে ও আমরা তা জানতে পারিনা, বুঝতে পারিনা। তাই আমার এই প্রচেষ্ঠা। এই ব্লগের লেখা দিয়ে যদি কারো কোন উপকার হয়, তাহলেই আমার কষ্ট সার্থক হবে। পুনশ্চঃ ব্লগটি চালু রাখতে, ডোনেশন করুন।আপনার ছোট্ট একটু কমেন্ট আমাকে অনেক প্রেরনা দেবে।দয়া করে Facebook এ একটা Like দিন। সবাইকে ধন্যবাদ।

শনিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১১

সাইকোসেক্সুয়াল ডিসফাংশন পুরুষত্বহীনতা

পুরুষত্বহীনতা (impotency) হলো পুরুষের যৌন সমস্যা। এক্ষেত্রে পুরুষের উপযুক্ত যৌন ক্ষমতার অভাব সৃষ্টি হয়।
মোটামুটি দুই ধরনের পুরুষত্ব হীনতা দেখা যায়।
(১) যৌন উত্তেজনার পুরোপুরি অভাব,যৌন সংগম করার উপযোগী লিংগ সুদৃঢ় না হওয়া বুঝায়।
(২) লিংগ সুদৃঢ় হলেও, যৌন মিলনের অল্প সময়ের মধ্যেই পুরুষের বীর্যপাত হওয়া বুঝায়।



যে কোনও বয়সে কিছু সংখক পুরুষ এই ধরনের কোনও প্রকারের পুরুষত্বহীনতার শিকার হয়। জৈবিক কিংবা মনস্তাত্বিক কারনে পুরুষত্বহীনতা দেখা দিতে পারে। তবে, পুরুষত্বহীনতায় আক্রান্ত অধিকাংশ পুরুষের বেলায় মনস্তাত্বিক কারনই বিশেষ ভাবে বিদ্যমান থাকে। মনস্তাত্বিক কারন বলতে মনস্তাত্বিক বাধাকেই বুঝায়। এই লেখায় আমরা মানসিক কারনে পুরুষত্বহীনতা নিয়ে আলোচনা করবো।

কারনঃ
প্রথমতঃ
@ বাল্য জীবনের ভুল শিক্ষা।
@ যৌন আচরন সম্পর্কে সঠিক জ্ঞানের অভাব বা ক্ষতিকর ভুল তথ্য পরিবেশন।
@ অপরাধ বোধ।
@ অত্যধিক যৌন প্রতাশা।
@ যৌন - আচরনকে মন্দ হিসেবে চিহ্নিত করন।
@ প্রথম যৌন মিলনে ব্যর্থতা।
দ্বিতীয়তঃ
@ ভয়।
@ অস্থিরতা।
@ পুরুষত্বহীনতার আশংকা।
তৃতীয়তঃ
@ যৌন পাত্র পাত্রীর প্রতি যৌন আকর্ষণ ও ভালবাসার অভাব।
চতুর্থতঃ
@ যথেষ্ট যৌন কামনার অভাব।
@ যৌন ব্যাপারে অনীহা।
পঞ্চমতঃ
@ প্রচ্ছন্ন বা সক্রিয় সমকামীতার অভ্যাস বা অন্য কোনও প্রকার যৌন - বিকৃতি।

চিকিৎসাঃ
পুরুষত্বহীন ব্যাক্তি যদি স্বক্রীয় ভাবে এই সব মনস্তাত্বিক বাধা দূর করতে সমর্থ হয়, তাহলে তার পুরুষত্বহীনতার সমস্যাও দূর হতে পারে। রোগী যদি নিজে নিজে এই সমস্যার সমাধান করতে না পারে, তা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দেশের সবগুলো সরকারী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ আছেন। এ ছাড়ারা ও পাবনা মানসিক হাসপাতাল, বি এস এম এম ইউ (পিজি হাসপাতাল) ও জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে উন্নতমানের চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। জৈবিক ত্রুটি থাকলে কোন মেডিসিন বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করা উচিত। এসব ব্যাপারে হাতুড়ে চিকিৎসকদের নিকট গেলে মারাত্বক ক্ষতি ও প্রতারিত হবার ভয় থাকে।  



নেট থেকে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Twitter Bird Gadget