
১. পানি ভাঙার সঙ্গে সঙ্গে সন্তান ভূমিষ্ট
অনেকেই এ ভুল ধারণার কবলে পড়েন কিংবা বহু চলচ্চিত্রেও এমনটা দেখা যায়। যদিও বাস্তবে এতে ২৪ ঘণ্টাও সময় লাগতে পারে।
২. দুই জনের খাবার খেতে হবে
অনেকেই গর্ভধারণের সময় গর্ভবতীকে দুইজনের খাবার খেতে পরামর্শ দেন। যদিও বাস্তবে বিষয়টি সম্পূর্ণ তা নয়। এজন্য গর্ভবতীকে ৩০০ ক্যালরির সমান খাবার বেশি খেতে হবে।
৩. যৌনতা অসম্ভব
গর্ভবতী অবস্থায় রক্তের পরিমাণ বেশি থাকায় আগের তুলনায় ভালো অর্গাজম সম্ভব। যদিও এ বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ মানা প্রয়োজন।
৪. কফিপানে গণ্ডগোল
গর্ভধারণের পর কফি একেবারেই পান করতে নিষেধ করে দেন অনেকে। বাস্তবে
২০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত ক্যাফেইন পান করা যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে শুধু কফি নয়, এর মধ্যে অন্তর্ভূক্ত হবে চা, কোমল পানীয় ও চকোলেট; দৈনিক একত্রে এগুলোর মাত্রা ২০০ মিলিগ্রামের নিচে রাখা প্রয়োজন।
৫. অ্যালকোহল
গর্ভবতীদের অ্যালকোহলজাতীয় পানীয় একেবারেই পান করা উচিত নয়। এক্ষেত্রে যাদের নেশা রয়েছে, তারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।
৬. মাছ নিরাপদ
অনেকেই মনে করেন সব ধরনের মাছই নিরাপদে খাওয়া যায়। যদিও বাস্তবে কিছু মাছ রয়েছে, যা গর্ভবতী অবস্থায় বেশি খাওয়া উচিত নয়।
৭. সন্তান বড় হলে সিজারিয়ান
অনেকেরই ধারণা রয়েছে, সন্তানের ওজন বেশি হলে সিজারিয়ান করা দরকার। যদিও বাস্তবে সাধারণ ক্ষেত্রে বিষয়টির ভিত্তি নেই।
৮. গ্যাস সমস্যা
গর্ভবতী অবস্থায় অধিকাংশ নারীরই পেটে গ্যাস জমে এবং ডাক্তার পেটে চাপ দিলে তা নির্গত হয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন। বাস্তবে ডাক্তাররা এ বিষয়টিতে অভ্যস্ত কারণ ৮০ ভাগ নারীরই এমনটা হয়। এতে বিব্রত হওয়ার কিছু নেই।
৯. চামড়ার ফাটা দাগ নিরাময়ে প্রসাধনী
গর্ভবতী অনেক নারীরই চামড়ায় ফাটা দাগ দেখা যায়, যা প্রতিরোধে প্রসাধনী সামগ্রী তেমন কোনো ভূমিকা রাখে না। তবে প্রচুর ফল ও সবজি খাদ্যতালিকায় রাখলে এটি দ্রুত ঠিক হয়ে যায়।
১০. নির্দিষ্ট তারিখের আগেই হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে
সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার জন্য নির্ধারিত তারিখের আগেই হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে, এমনটা অনেকের ধারণা রয়েছে। যদিও বাস্তবে এ সময় আগে বা পরে হতে পারে।
১১. যৌনতার প্রভাব
অনেকেরই ধারণা রয়েছে যৌনতায় গর্ভপাত বা প্রসব বেদনা শুরু হতে পারে। যদিও এর বাস্তব ভিত্তি নেই।
১২. গর্ভবতীর চুল ডাই নয়
অনেকেরই ধারণা রয়েছে গর্ভবতী নারীর চুল ডাই করা উচিত নয়। বাস্তবে কেমিক্যাল হেয়ার ডাইয়ের বদলে ভেষজ হেয়ার ডাই ব্যবহার করলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
১৩. নানা লক্ষণে সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ
অনেকেই সন্তানের নড়াচড়া, অবস্থান ইত্যাদি দিয়ে সে ছেলে নাকি মেয়ে, তা নির্ধারণ করতে চান। বাস্তবে এর কোনো ভিত্তি নেই।
কা ক
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন