পাঠকের কাছে অনুরোধঃ এটা একটা শিক্ষনীয় ব্লগ।এই ব্লগ/ওয়েবকে চটি সাইট মনে করার কোন অবকাশ নাই। আমাদের প্রতিদিনের জীবনে আমরা যৌনতা সম্পর্কে কি এবং কতটুকুই বা জানি? পশ্চিমা দেশের ১৬-১৮ বছরের ছেলে-মেয়েরা যৌনতার ব্যাপারে যা জানে, আমাদের দেশে বিয়ের ১৫ বছর পরে ও আমরা তা জানতে পারিনা, বুঝতে পারিনা। তাই আমার এই প্রচেষ্ঠা। এই ব্লগের লেখা দিয়ে যদি কারো কোন উপকার হয়, তাহলেই আমার কষ্ট সার্থক হবে। পুনশ্চঃ ব্লগটি চালু রাখতে, ডোনেশন করুন।আপনার ছোট্ট একটু কমেন্ট আমাকে অনেক প্রেরনা দেবে।দয়া করে Facebook এ একটা Like দিন। সবাইকে ধন্যবাদ।

বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৪

শিশুকে স্তন্যদানের সময়ে নতুন মায়ের সমস্যা ও সমাধান

একজন নারীর পূর্ণতা আসে তাঁর মাতৃত্বে। মা হওয়াটাও কিন্তু কম কষ্টের নয়। কিন্তু সব কষ্টকে উপেক্ষা করে একজন নারী তাঁর সন্তানকে আগলে রাখেন, তাকে একটু একটু করে বড় করে তোলেন। গর্ভধারণ থেকে শুরু করে সন্তান জন্মদান পর্যন্ত প্রত্যেক নারীকেই কিছু শারীরিক সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। সন্তান জন্মের পরও নতুন মায়ের নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা। বিশেষ করে যেখানে নবজাতকের খাদ্যের উত্‍স তার মায়ের শরীর, অর্থাত্‍ মায়ের বুকের দুধ, সেক্ষেত্রে এ বিষয়টি নিয়েও নতুন মায়ের হতে পারে নানা সমস্যা। আর এসব সমস্যা মোকাবিলা করতে হবে নতুন মাকেই।
বুকে দুধ কম হলে :

এ একটি অতি পরিচিত সমস্যা। অনেক নতুন মায়েরই শিশুর প্রয়োজনের
তুলনায় বুকে কম দুধ আসতে পারে। সেক্ষেত্রে সুষম আহার ও পূর্ণ বিশ্রাম আবশ্যক। দুধবর্ধক কিছু অ্যালোপ্যাথিক এবং হার্বাল ওষুধও পাওয়া যায়। তবে সাহস জোগালেই অনেক সময় ফল পাওয়া যায়।
সোর বা ক্র্যাকড নিপল :

অনেক নতুন মায়েরই স্তন বৃন্ত ফেটে যায় বা ঘা হয়ে যায়। নিপলে ঘা বা ফেটে যাওয়া মতো হলে মা শিশুকে দুধ দিতে পারে না। শিশুও ওই স্তন থেকে দুধ খেতে চায় না। সেক্ষেত্রে আক্রান্ত স্তনে বিশ্রাম দিতে হবে এবং স্তন থেকে হাতে করে দুধ বার করে শিশুকে খাওয়াতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শে ছাড়া অয়েনমেন্ট ব্যবহার করা যাবে না।
বুকে দুধ জমে যাওয়া :
শিশু জন্মানোর পর চতুর্থ দিনে যখন দুধ বেশি আসে তখন বেশি ক্ষরণ ও সঞ্চয়ের জন্য কখনো কখনো বুকে অতিরিক্ত ব্যথা হয়। এতে মায়ের খুবই কষ্ট হয়। এ সময় স্তনকে খুব ভালো সাপোর্ট দেয়ার জন্য সঠিক অন্তর্বাস ব্যবহার করতে হবে। সেই সাথে কম্প্রেস করতে হবে। ব্যথা নিরাময়কারী ওষুধেরও দরকার হতে পারে। স্তন খুব শক্ত হলে শিশু মুখ লাগিয়ে খেতে পারে না। এ ব্যাপারে মাকে সাহায্য করতে হবে এবং দরকার হলে হাতে করে কিছুটা দুধ বার করে দিতে হবে। তবে এ সমস্যা সাধারণত ২-১ দিনের বেশি থাকে না।
স্তনে পুঁজ জমা :
অনেক সময় শিশুর জন্মের বেশ কিছু দিন পরে স্তন বা এর কিছু অংশ লাল হয়, খুব ব্যথা হয়, যেন ভেতরে কিছু আছে এমন অনুভব হয় এবং জ্বর আসে। এসব স্তনে পুঁজ জমার লক্ষণ। যদিও অ্যান্টিবায়োটিক খেলেই ঠিক হয়ে যায়, তবে অনেক সময় কেটেও পুঁজ বার করতে হয়। এ সময় মায়েরা চায় শিশুকে দুধ দেয়া একবারে বন্ধ করতে। কিন্তু অন্য স্তনে দুধ দেয়া চলতে পারে। পুঁজ হওয়া স্তনে চাপ দিয়ে দুধ বার করে ফেলে দিতে হবে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রিত হবার পর আবার ওই স্তনে দুধ দিতে পারেন।
ক্লান্তি :
অনেক সময় দেখা যায় শিশুকে দুধ দিতে দিতে মায়ের ক্লান্তি চলে আসে। মাকে পূর্ণ বিশ্রাম নিতে হবে। কখনো শিশু বেশি বেশি দুধ চায়। তাই ক্লান্তিটা অনেকাংশেই স্বাভাবিক। ২-১ দিনের মধ্যে ব্যাপারটি ঠিক হয়ে যায়। তাই অযথা উদ্বিগ্ন না হয়ে মাকে বিশ্রাম ও উপযুক্ত আহার গ্রহণ করতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Twitter Bird Gadget