পাঠকের কাছে অনুরোধঃ এটা একটা শিক্ষনীয় ব্লগ।এই ব্লগ/ওয়েবকে চটি সাইট মনে করার কোন অবকাশ নাই। আমাদের প্রতিদিনের জীবনে আমরা যৌনতা সম্পর্কে কি এবং কতটুকুই বা জানি? পশ্চিমা দেশের ১৬-১৮ বছরের ছেলে-মেয়েরা যৌনতার ব্যাপারে যা জানে, আমাদের দেশে বিয়ের ১৫ বছর পরে ও আমরা তা জানতে পারিনা, বুঝতে পারিনা। তাই আমার এই প্রচেষ্ঠা। এই ব্লগের লেখা দিয়ে যদি কারো কোন উপকার হয়, তাহলেই আমার কষ্ট সার্থক হবে। পুনশ্চঃ ব্লগটি চালু রাখতে, ডোনেশন করুন।আপনার ছোট্ট একটু কমেন্ট আমাকে অনেক প্রেরনা দেবে।দয়া করে Facebook এ একটা Like দিন। সবাইকে ধন্যবাদ।

মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৪

পিরিয়ডের ব্যথায় বিনা ঔষধে প্রশান্তি পাবার উপায়!!

পিরিয়ডের ব্যথায় বিনা ঔষধে প্রশান্তি পাবার উপায়!!প্রত্যেক নারীরই একটি নির্দিষ্ট বয়সে এসে পিরিয়ড শুরু হয়ে থাকে। এসময়ে অনেক মেয়েরই পিরিয়ড হলেই পেট ব্যথার যন্ত্রণায় টিকে থাকা মুশকিল হয়ে যায়। আর মাসিকের ব্যাথা শুরু হলে ক্লাস, ঘুম, বাসা, টিভি দেখা কোনো কিছুই যেন ভালো লাগে না । আবার অনেকেই বলেন যে মাসিকের ব্যথায় খুব ঘনঘন ব্যথার ওষুধ খাওয়াও শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাহলে কী করবেন এমন পরিস্থিতিতে? কি করলে কিছুটা প্রশান্তি
পাওয়া যাবে পিরিয়ডের সময়ে? পাঠকবৃন্দ আসুন জেনে নেয়া যাক মাসিকের ব্যথায় প্রশান্তি পাওয়ার কিছু সহজ উপায়।
গরম সেঁকঃ
মাসিকের সময় প্রচন্ড তলপেট ব্যথা হয়। আর এই তলপেট ব্যথায় গরম পানির সেঁক নিলে পেট ব্যথায় বেশ আরাম পাওয়া যায় এবং কিছুটা কম অনুভূত হয় ব্যথা। তাই গরম পানির সেঁক দেয়ার জন্য ব্যবহার করতে পারেন হট ওয়াটার ব্যাগ। যে কোনো ওষুধের দোকানেই পেয়ে যাবেন এই হট ওয়াটার ব্যাগ। গরম পানি ভরে নিলেই সেঁক দেয়া যায় এই হট ওয়াটার ব্যাগ গুলোতে। এছাড়াও ইস্ত্রি দিয়ে কাপড় গরম করেও সেঁক দেয়া যায়।
মনোযোগ সরিয়ে নিনঃ
পেট ব্যথা শুরু হলে কোনো কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ুন। যখন পেট ব্যথা হয় তখন অফিসের কাজ কিংবা ফেসবুকিং করা শুরু করে দিন। মুভিও দেখতে পারেন। ফেসবুকে বন্ধুদের সাথে কথাবার্তা বলতে বলতে কিছুক্ষণ পর এমনিতেই মনোযোগ অন্য দিকে সরে যাবে এবং পেট ব্যথা কম মনে হবে।
ভিটামিনযুক্ত খাবারঃ
মাসিকের ব্যথা কমাতে কিছু বিশেষ ভিটামিনের ভূমিকা আছে। আর তাই যারা মাসিকের সময় পেট ব্যথার যন্ত্রণায় ভোগেন তারা সবসময় ভিটামিন ই যুক্ত খাবার (চিনা বাদাম, পেস্তা বাদাম, বাঁধাকপি, আম ইত্যাদি), ভিটামিন বি৬ (ভাত, মাছ,ওটমিল, কলা ইত্যাদি), ভিটামিন বি১ (ডিম, মাছ, সবুজ সবজি, গম ইত্যাদি) খাওয়ার চেষ্টা করুন। এগুলো খেলে পেশীর সংকোচনজনিত মাসিকের ব্যথা থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া যাবে।
সুবিধাজনক অবস্থানে শুয়ে থাকুনঃ
মাসিকের সময় বিভিন্ন অবস্থানে শুয়ে থাকলে অনেক সময় আরাম পাওয়া যায় কিছুটা। এই অবস্থা এক এক জনের ক্ষেত্রে এক এক রকম। তবে সাধারণত পাশ ফিরে শুয়ে হাঁটু ভাজ করে বুকের কাছাকাছি এনে শুয়ে থাকলে সাময়িক প্রশান্তি পাওয়া যায়।

ম্যাসাজঃ
মাসিকের সময় শরীর ম্যাসাজ করিয়ে নিন ভালো কোনো পার্লারে গিয়ে অথবা ম্যাসাজে অভিজ্ঞ কারো কাছে। কারণ মাসিকের সময় পুরো শরীর ম্যাসাজ করিয়ে নিলে শরীর শিথিল থাকে এবং তলপেট ব্যথা কিছুটা কম হয়। ফলে মাসিকের সময় প্রশান্তি পাওয়া যায়।

নতুনখবর

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Twitter Bird Gadget