পাঠকের কাছে অনুরোধঃ এটা একটা শিক্ষনীয় ব্লগ।এই ব্লগ/ওয়েবকে চটি সাইট মনে করার কোন অবকাশ নাই। আমাদের প্রতিদিনের জীবনে আমরা যৌনতা সম্পর্কে কি এবং কতটুকুই বা জানি? পশ্চিমা দেশের ১৬-১৮ বছরের ছেলে-মেয়েরা যৌনতার ব্যাপারে যা জানে, আমাদের দেশে বিয়ের ১৫ বছর পরে ও আমরা তা জানতে পারিনা, বুঝতে পারিনা। তাই আমার এই প্রচেষ্ঠা। এই ব্লগের লেখা দিয়ে যদি কারো কোন উপকার হয়, তাহলেই আমার কষ্ট সার্থক হবে। পুনশ্চঃ ব্লগটি চালু রাখতে, ডোনেশন করুন।আপনার ছোট্ট একটু কমেন্ট আমাকে অনেক প্রেরনা দেবে।দয়া করে Facebook এ একটা Like দিন। সবাইকে ধন্যবাদ।

বুধবার, ১৫ আগস্ট, ২০১২

সমকামীদের অজানা কথা

সমকামীরা হিজড়া না। সমকামীদের মধ্যে কেউ কেউ শুধু পুরুষদেরই পছন্দ করেআবার কেউ কেউ পুরুষ ও মহিলা,উভয় কেই পছন্দ করে। যে সব সমকামী পুরুষ শুধু অন্য পুরুষ কে পছন্দ করে তাদের কে গে বলা হয় আর যারা নারী পুরুষ উভয় কে পছন্দ করে তাদের কে বাই (Bi) বলা হয়। মেয়েদের কে বলা হয় লেসবিয়ান।

ঢাকায় কিছু জায়গা আছে যেখানে
সন্ধার পর সমকামিরা জড়ো হয় তাদের বিছানার সঙ্গি খুজতে। চ্যাটিং এর বদৌলতে এখন সমকামিরা ঘরে বসে অন্য সমকামির সাথে সহজেই পরিচিত হতে পারছে। ইয়াহু চ্যটিং এর বাংলাদেশ রুমে গেলে দেখবেন boy2boy, boy4boy, man2man, gay - এরকম অনেক নাম।  এরা এইসব নিক নিয়ে বসে থাকে অন্য সমকামি কে খোজার জন্য।  ইন্টারনেট কে কেন্দ্র করে সমকামি দের সর্কেল ও সৃষ্টি হয়েছে। সমকামিদের ২/৩ টা ফ্রেন্ডশীপ গ্রুপ আছে।  তারা ডিসকো নাইটপিকনিক আয়োজন করেগেট টুগেদার করে। সমকামিদের মধ্যে ও ভালোবাসা টা প্রবল।  একজন ছেলের অন্য ছেলের প্রতি ফিলিংস এত প্রবলনা দেখলে কেউ বিশ্বাস করবেন না। বাংলাদেশে আনেক সমকামি বিবাহিত ও সংসার করছে কিন্তু সমাজের চাপে তারা কিছু বলে না বিয়ের পর চুপি চুপি অন্য ছেলের সাথে যৌনকর্ম চালায়ে যায়।  

সমকামি পুরুষদের মধ্যে ২ রকম পুরুষ দেখা যায় ।  এক রকম যারা ভোগ করতে পছন্দ করে আরেক রকম যারা ভোগ্য হতে পছন্দ করে।  যারা ভোগ করতে পছন্দ করে তাদের কে একটিভ আর যারা ভোগ্য তারা প্যাসিভ।  ইন্টারনেটের ভাষায় টপ – বটম
অনেক সমকামি মেয়েদের মত আচরন করে তাদের কে কতি বলা হয়।  আর যারা পুরুষালি তাদের পান্তি বলা হয়
এক গবেষনায় নাকি দেখা গেছে সমকামিরা সাধারন লোকদের থেকে জিনিয়াস হয়ে থাকে
সমকামি রা খেলাঢুলা থেকে গান নাচ ফ্যাশন অভিনয় মডেলিং বেশী পছন্দ করে
বাংলাদেশে প্রচুর পরিমানে সমকামি আছে আমাদের আশে পাশেই।  এক সমকামির পক্ষেই আরেক সমকামি কে চেনা সম্ভব।  
সমকামিদের নিয়ে অনেক পর্নো বের হয়েছে বাংলাদেশেও তা আসছে কারো না কারো মাধ্যমে।
সমকামিদের এইডস ছড়ায় বেশি – এটা ভুল প্রমানিত হয়েছে সম্প্রতি।

অনেকে মনে করেনসমকামিতা একটা মানসিক বৈকল্য।এটা কোন মানসিক রোগ না। আমি মানসিক রোগ মনে করে ২ জন মানসিক ডাক্তার দেখিয়েছি। কোন সুরাহা না হওয়াতে পরে ইন্টারনেট থেকে এটা নিয়ে বিভিন্ন আর্টিকেল পড়ে সমস্যা কোথা বোঝার চেস্টা করেছি। সমকামিতা শুধু মানুষের মধ্যে নাসব প্রানীর মধ্যে আছে।  

ডিসকভারি চ্যানেলে একটা রিপোর্ট এ দেখায়ছিলতারা মাছি আর ছাগলের উপর পরীক্ষা চালায়ছিল।  যাই হোক,শেষ যে পরীক্ষ হয় তাতে দেখা যায় যেসমকামিদের সাথে সাধারন মানুষের শরীরে শুধু একটা যায়গায় অমিল। তা হোল তাদের ঘ্রাননেন্দ্রিয়।  অনেকে হিজড়া আর সমকামিদের গুলিয়ে ফেলেন। সমকামিরা হিজড়া না। বাংলাদেশের অনেক নামি দামি লোক সমকামিতায় আক্রান্ত।  অনেকে বিয়ের কথা বলেছেআসলে বিয়ে করলেও যায় না এটা।

অনেক সমকামি আছেবিয়ের পর সংসার করছে আবার তার কোন বয়ফ্রেন্ড আছেবিয়ের পর সংসার করছে,আন্যদিকে সুজোগ পেলেই সমকামি যৌন সংগ উপভোগ করছে।  বিয়ের পর যেটা হয় তা হল ২ টা পৃথক জিবন যাপন করে।  তার বৌ কে আভুক্ত রেখে সে দিনের পর দিন অন্য পুরুষের সাথে মেলা মেশা করে।  সংসার নামেবৌ ও সন্তান দের প্রতি কিছু অর্থনৈতিক দায়িত্ব পালন করে।

সতর্কতা

১। আপনার সন্তান কে কোন মেহমান এর সাথে এক বিছানায় ঘুমাতে দিবেন না। আপনার মেহমান সমকামি ও তো হতে পারে।
২। আপনার সন্তান এর বন্ধুদের প্রতি খেয়াল রাখুনকারন স্কুল জিবন থেকেই শুরু হয় এর উৎপত্তি।  যেন সে কোন বন্ধুকে নিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে কোন আড্ডা না দেয়।  
৩। সন্তানের আচার আচরনের দিকে খেয়াল রাখুন।  তাকে বাইরে খেলা ধুলা করতে পাঠানখেলাধুলায় উৎসাহ দেন।  সমকামি পুরুষ দের নাম গে হবার কারন হোলতারা ফুর্তিফ্যশন এই গুলার প্রতি আকর্ষন বোধ করে।  মডেলসিনেমাফ্যশন এই গুলোতে তাই গে দের অনেক উপস্থিতি।  দেখেন খেয়াল করে তার মধ্যে কোন মেয়েলি আচরন আছে নাকি।
৪। সন্তানদের কে দুরে রাখবেন না। অবসর সময়ে তাদের সাথে আড্ডা দেন।  আমার নিজস্ব মতামতবাবা মা এর কাছ থেকে দুরে চলে গেলে হয় তারা ড্রাগ নেয় অথবা সমকামিতায় লিপ্ত হয়।

1 টি মন্তব্য:

Twitter Bird Gadget