মনোযৌন রোগ জীবানু দ্বারা উৎপন্ন কোনো যৌনরোগ নয়। জীবানু দ্বারা উৎপন্ন যৌনরোগকে বলে ভেনারেল ডিজিজ। মনোযৌন রোগ হলো, সম্পুর্ন মানসিক সমস্যার কারনে সৃষ্ট রোগ।যা, রোগী বা রোগিনী নিজেও বুঝতে পারেনা সে মনোযৌন সমস্যায় আক্রান্ত।
আসুন সংক্ষেপে আলোচনা করি-
@@ স্বাভাবিক যৌনক্রিয়ার বিঘ্নতা
1. পুরুষদের বেলায়ঃ (ক) পুরুষত্বহীনতা, (খ) দ্রুত রতিস্খল, (গ) বিলম্বিত রতিস্খলন,
2. মহিলাদের বেলায়ঃ (ক) কামশীতলতা/যৌনস্পৃহা-হীনতা/ সেক্স করার আগ্রহ না থাকা, (খ) সেক্স করার সময় স্ত্রী-যোনির বহিরাংশ সংকুচিত হয়ে যায় এবং ভেতরে অংশ পয়োজন মত পিচ্ছিল হয়না, (গ) যৌন-সঙ্গম কালে চরমানন্দ (Orgasm) লাভে ব্যর্থ হওয়া, (ঘ) সেক্স করার সময় স্ত্রী-যোনিতে ব্যাথা।
@@ যৌন বিচ্যুতি
এক্ষেত্রে রোগীর মধ্যে অস্বাভাবিক মানসিকতা প্রকাশ পায়। স্বাভাবিকভাবে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি যৌন আকর্ষন বোধ না করে কেউ যদি আস্বাভাবিক কোনোকিছুর প্রতি যৌন আকর্ষন বোধ করে তবে তাকে যৌন বিচ্যুতি বলে।
সংক্ষেপে কয়েকটি যৌন বিচ্যুতির নাম উল্লেখ করা হলঃ
1. সমকামিতা (Homosexuality)- পুরুষ ও মহিলা উভয়ের মধ্যে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। যদি পুরুষ, পুরুষের প্রতি যৌন আকর্ষন বোধ করলে তাকে সডোমি (Sodomy) বলে। নারী, নারীর প্রতি যৌন আকর্ষন বোধ করলে তাকে লেসবিয়ান (Leabian) বলে।
2. প্রদর্শন বাতিক(Exhibitionism)- সেক্স করার সাথে জড়িত অংঙ্গপ্রতঙ্গ প্রদর্শন করে যৌন উত্তেজনা ও তৃপ্তি লাভ করাকে বুঝায়। তুলনামূলকভাবে মেয়েদের এই সমস্যা বেশী হয়।
3. ধর্ষকাম(Sadism)- সেক্স করার সময়, পার্টনারকে দৈহিক ব্যাথা বা আঘাত বা ক্ষতি করে রোগী নিজে যৌনতৃপ্তী লাভ করে। তুলনামূলকভাবে পুরুষের এই সমস্যা বেশী হয়।
4. মর্ষকাম(Mesochism)- সেক্স করার সময়, রোগী নিজেকে ব্যথা দিয়ে বা পার্টনারের কাছ থেকে দৈহিক ব্যাথা বা আঘাত বা ক্ষতিপ্রাপ্ত হয়ে রোগী নিজে যৌনতৃপ্তী লাভ করে। তুলনামূলকভাবে পুরুষের এই সমস্যা বেশী হয়।
5. নারীর অন্তর্বাসে আসক্তি(Fetishism)- এটা পুরুষের রোগ। নারীর অন্তর্বাস,চুলের বেনী,জুতা,মোজা,পেটিকোট,ব্রা ইত্যাদি সংগ্রহ করে রাখার মধ্যে রোগী যৌনতৃপ্তি লাভ করে।
6. অন্যের গোপনীয় অঙ্গ দর্শনবাতিক(Voyarism/Voyeur)- অন্যের নগ্নদেহ, গোপন অঙ্গ বা অন্যের সেক্স করার দৃশ্য দেখে রোগী যৌনতৃপ্তি লাভ করে। তুলনামূলকভাবে পুরুষের এই সমস্যা বেশী হয়।
7. শিশুর প্রতি যৌন আসক্তি (Paedophilia)- রোগী শিশুর সাথে সেক্স করে।
8. পশুর প্রতি যৌনাকর্ষন (Bestiality)- মেয়েরা পোষা কুকুর বা অন্য প্রানির সাথে আর পুরুষেরা গাভী,ছাগল বা অন্য প্রানির সাথে সেক্স করে।
9. মৃতদেহের প্রতি যৌনাকর্ষন (Necrophilia)- খুব কদাচিত (পুরুষের ক্ষেত্রে এটা হয়ে থাকে।)
10. বিপরীত লিঙ্গের পোশাক পরিধান বাতিক(Transvestism) বিপরিত লিঙ্গের ব্যাক্তিদের পোশাক পরিচ্ছেদ পরিধান করে যৌনতৃপ্তি লাভ করে। তুলনামূলকভাবে মেয়েদের এই সমস্যা বেশী হয়।
11. লিঙ্গ পরিবর্তন বাতিক(Trans sexalism)- রোগী বা রোগীনির মধ্যে বিপরীত লিঙ্গের অধিকারী হবার প্রবনতা এতই বেশী যে, জটিল অস্ত্রোপচারের জন্য চিকিৎসককে অনুরোধ থাকে।
12. প্রসাবের প্রতি যৌন আসক্তি (Urophilia)- প্রস্রাব পান করে বা প্রসাব করতে দেখে বা নিজের দেহের উপর প্রসাব করে দিয়ে রোগী যৌনতৃপ্তি পায়।
13. পায়খানার প্রতি যৌন আসক্তি(Coprophilia)- মলত্যাগের কল্পনা করে বা মলত্যাগ করতে দেখে রোগী যৌনতৃপ্তি লাভ করে।
14. পুরুষের অস্বাভাবিক যৌনাকাঙ্ক্ষা(Satariyasis/Don Juanism/Sexaddiction of male)- এরা শুধু সেক্স করার জন্য পাগল হয়ে থাকে । সারাদিন শুধু সেক্স নিয়ে চিন্তা করে থাকে। এটা এক ধরনের বাতিক রোগ(Compulsion)।
15. নারীর অস্বাভাবিক যৌনাকাঙ্ক্ষা(Nymphomania/Sexaddiction of female)-এরা শুধু সেক্স করার জন্য পাগল হয়ে থাকে । সারাদিন শুধু সেক্স নিয়ে চিন্তা করে থাকে। এটা এক ধরনের বাতিক রোগ(Compulsion)।
16. অজাচার (Incest)- ভাই-বোন,পিতা-কন্যা,মাতা-পুত্র ইত্যাদি আপনজনদের মধ্যে নিষিদ্ধ ও অবৈধ যৌন সম্পর্ক। কিছুদিন আগে টিভিতে দেখলাম ঢাকায় এক বাবা (নরপশু) তার নিজ মেয়ের সাথে নিষিদ্ধ ও অবৈধ যৌন সম্পর্ক করে এখন কারাগারে আছে।
চিকিৎসাঃ
মনোযৌন রোগ ও সমস্যার বৈজ্ঞানিক ও সহজ চিকিৎসা দেশেই সম্ভব । দেশের প্রত্যেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাইকিয়াট্রিক বিভাগে এর উপযুক্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রীরা আপনাদের “ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি” বিভাগে যোগাযোগ করতে পারেন । ওখানে আপনাদের জন্য ফ্রি চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে।
ফাইজুল হকের নেট থেকে
আসুন সংক্ষেপে আলোচনা করি-
@@ স্বাভাবিক যৌনক্রিয়ার বিঘ্নতা
1. পুরুষদের বেলায়ঃ (ক) পুরুষত্বহীনতা, (খ) দ্রুত রতিস্খল, (গ) বিলম্বিত রতিস্খলন,
2. মহিলাদের বেলায়ঃ (ক) কামশীতলতা/যৌনস্পৃহা-হীনতা/ সেক্স করার আগ্রহ না থাকা, (খ) সেক্স করার সময় স্ত্রী-যোনির বহিরাংশ সংকুচিত হয়ে যায় এবং ভেতরে অংশ পয়োজন মত পিচ্ছিল হয়না, (গ) যৌন-সঙ্গম কালে চরমানন্দ (Orgasm) লাভে ব্যর্থ হওয়া, (ঘ) সেক্স করার সময় স্ত্রী-যোনিতে ব্যাথা।
@@ যৌন বিচ্যুতি
এক্ষেত্রে রোগীর মধ্যে অস্বাভাবিক মানসিকতা প্রকাশ পায়। স্বাভাবিকভাবে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি যৌন আকর্ষন বোধ না করে কেউ যদি আস্বাভাবিক কোনোকিছুর প্রতি যৌন আকর্ষন বোধ করে তবে তাকে যৌন বিচ্যুতি বলে।
সংক্ষেপে কয়েকটি যৌন বিচ্যুতির নাম উল্লেখ করা হলঃ
1. সমকামিতা (Homosexuality)- পুরুষ ও মহিলা উভয়ের মধ্যে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। যদি পুরুষ, পুরুষের প্রতি যৌন আকর্ষন বোধ করলে তাকে সডোমি (Sodomy) বলে। নারী, নারীর প্রতি যৌন আকর্ষন বোধ করলে তাকে লেসবিয়ান (Leabian) বলে।
2. প্রদর্শন বাতিক(Exhibitionism)- সেক্স করার সাথে জড়িত অংঙ্গপ্রতঙ্গ প্রদর্শন করে যৌন উত্তেজনা ও তৃপ্তি লাভ করাকে বুঝায়। তুলনামূলকভাবে মেয়েদের এই সমস্যা বেশী হয়।
3. ধর্ষকাম(Sadism)- সেক্স করার সময়, পার্টনারকে দৈহিক ব্যাথা বা আঘাত বা ক্ষতি করে রোগী নিজে যৌনতৃপ্তী লাভ করে। তুলনামূলকভাবে পুরুষের এই সমস্যা বেশী হয়।
4. মর্ষকাম(Mesochism)- সেক্স করার সময়, রোগী নিজেকে ব্যথা দিয়ে বা পার্টনারের কাছ থেকে দৈহিক ব্যাথা বা আঘাত বা ক্ষতিপ্রাপ্ত হয়ে রোগী নিজে যৌনতৃপ্তী লাভ করে। তুলনামূলকভাবে পুরুষের এই সমস্যা বেশী হয়।
5. নারীর অন্তর্বাসে আসক্তি(Fetishism)- এটা পুরুষের রোগ। নারীর অন্তর্বাস,চুলের বেনী,জুতা,মোজা,পেটিকোট,ব্রা ইত্যাদি সংগ্রহ করে রাখার মধ্যে রোগী যৌনতৃপ্তি লাভ করে।
6. অন্যের গোপনীয় অঙ্গ দর্শনবাতিক(Voyarism/Voyeur)- অন্যের নগ্নদেহ, গোপন অঙ্গ বা অন্যের সেক্স করার দৃশ্য দেখে রোগী যৌনতৃপ্তি লাভ করে। তুলনামূলকভাবে পুরুষের এই সমস্যা বেশী হয়।
7. শিশুর প্রতি যৌন আসক্তি (Paedophilia)- রোগী শিশুর সাথে সেক্স করে।
8. পশুর প্রতি যৌনাকর্ষন (Bestiality)- মেয়েরা পোষা কুকুর বা অন্য প্রানির সাথে আর পুরুষেরা গাভী,ছাগল বা অন্য প্রানির সাথে সেক্স করে।
9. মৃতদেহের প্রতি যৌনাকর্ষন (Necrophilia)- খুব কদাচিত (পুরুষের ক্ষেত্রে এটা হয়ে থাকে।)
10. বিপরীত লিঙ্গের পোশাক পরিধান বাতিক(Transvestism) বিপরিত লিঙ্গের ব্যাক্তিদের পোশাক পরিচ্ছেদ পরিধান করে যৌনতৃপ্তি লাভ করে। তুলনামূলকভাবে মেয়েদের এই সমস্যা বেশী হয়।
11. লিঙ্গ পরিবর্তন বাতিক(Trans sexalism)- রোগী বা রোগীনির মধ্যে বিপরীত লিঙ্গের অধিকারী হবার প্রবনতা এতই বেশী যে, জটিল অস্ত্রোপচারের জন্য চিকিৎসককে অনুরোধ থাকে।
12. প্রসাবের প্রতি যৌন আসক্তি (Urophilia)- প্রস্রাব পান করে বা প্রসাব করতে দেখে বা নিজের দেহের উপর প্রসাব করে দিয়ে রোগী যৌনতৃপ্তি পায়।
13. পায়খানার প্রতি যৌন আসক্তি(Coprophilia)- মলত্যাগের কল্পনা করে বা মলত্যাগ করতে দেখে রোগী যৌনতৃপ্তি লাভ করে।
14. পুরুষের অস্বাভাবিক যৌনাকাঙ্ক্ষা(Satariyasis/Don Juanism/Sexaddiction of male)- এরা শুধু সেক্স করার জন্য পাগল হয়ে থাকে । সারাদিন শুধু সেক্স নিয়ে চিন্তা করে থাকে। এটা এক ধরনের বাতিক রোগ(Compulsion)।
15. নারীর অস্বাভাবিক যৌনাকাঙ্ক্ষা(Nymphomania/Sexaddiction of female)-এরা শুধু সেক্স করার জন্য পাগল হয়ে থাকে । সারাদিন শুধু সেক্স নিয়ে চিন্তা করে থাকে। এটা এক ধরনের বাতিক রোগ(Compulsion)।
16. অজাচার (Incest)- ভাই-বোন,পিতা-কন্যা,মাতা-পুত্র ইত্যাদি আপনজনদের মধ্যে নিষিদ্ধ ও অবৈধ যৌন সম্পর্ক। কিছুদিন আগে টিভিতে দেখলাম ঢাকায় এক বাবা (নরপশু) তার নিজ মেয়ের সাথে নিষিদ্ধ ও অবৈধ যৌন সম্পর্ক করে এখন কারাগারে আছে।
চিকিৎসাঃ
মনোযৌন রোগ ও সমস্যার বৈজ্ঞানিক ও সহজ চিকিৎসা দেশেই সম্ভব । দেশের প্রত্যেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাইকিয়াট্রিক বিভাগে এর উপযুক্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রীরা আপনাদের “ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি” বিভাগে যোগাযোগ করতে পারেন । ওখানে আপনাদের জন্য ফ্রি চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে।
ফাইজুল হকের নেট থেকে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন