পাঠকের কাছে অনুরোধঃ এটা একটা শিক্ষনীয় ব্লগ।এই ব্লগ/ওয়েবকে চটি সাইট মনে করার কোন অবকাশ নাই। আমাদের প্রতিদিনের জীবনে আমরা যৌনতা সম্পর্কে কি এবং কতটুকুই বা জানি? পশ্চিমা দেশের ১৬-১৮ বছরের ছেলে-মেয়েরা যৌনতার ব্যাপারে যা জানে, আমাদের দেশে বিয়ের ১৫ বছর পরে ও আমরা তা জানতে পারিনা, বুঝতে পারিনা। তাই আমার এই প্রচেষ্ঠা। এই ব্লগের লেখা দিয়ে যদি কারো কোন উপকার হয়, তাহলেই আমার কষ্ট সার্থক হবে। পুনশ্চঃ ব্লগটি চালু রাখতে, ডোনেশন করুন।আপনার ছোট্ট একটু কমেন্ট আমাকে অনেক প্রেরনা দেবে।দয়া করে Facebook এ একটা Like দিন। সবাইকে ধন্যবাদ।

বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট, ২০১১

যৌন উত্তেজক ওষুধ খাবেন না


উত্তেজক ওষুধ খাবেন না- প্রয়োজন ফিটনেস ব্যায়ামের মাধ্যমেই শরীরটাকে ফিট রাখা যায় এবং কাঙিক্ষত ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় রক্ত প্রবাহ তৈরি হয়ে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। ব্যায়াম শুধু শরীর গঠনে সহায়ক তাই নয়ব্যায়ামে রক্তনালীতে চর্বি জমতে দেয় নাফলে হার্টের রক্তনালীতে ব্লক সৃষ্টির ঝুঁকি কম থাকে। আমি সব সময় বলে আসছি পুরুষের শারীরিক সমস্যার শতকরা ৯০-৯৫ ভাগ মানসিক
 আর মানসিক সমস্যার কোন ওষুধের প্রয়োজন হয় নাসামান্য কাউন্সিলিং করলেই সমস্যার সমাধান সম্ভব। বিবাহিত পুরুষের শারীরিক সমস্যার মধ্যে প্রধান দুইটি সমস্যা হচ্ছে ইরেকটাইল ডিসফাংশন (ইডি) এবং প্রিমসিউর ইজাকুলেশন (পিএমই)। এছাড়াও পুরুষ ও মহিলাদের শারীরিক অন্যান্য সমস্যারয়েছে যা যৌন জীবনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তবে ইডি এবং পিএমই এই দুটো শারীরিক সমস্যার ক্ষেত্রে সামান্য চিকিসার প্রয়োজন পড়ে। তবে কোন অবস্থাতেই চিকিসকের পরামর্শ ব্যতীত ভায়াগ্রা জাতীয় যৌন উত্তেজক ওষুধ সেবন করা উচিত নয়। ওষুধ ও কাউন্সিলিং-এর পাশাপাশি শারীরিক সমস্যার সমাধানে ফিটনেস বেশি প্রয়োজন। অনেক ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের ক্ষেত্রে উপযুক্ত সময় নির্ধারণ ও যথাযথ পরিবেশ প্রয়োজন। শরীর ফিট রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করা ভালো। অনেকে প্রশ্ন করেনডাক্তার সাহেব ব্যায়ামের সঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর মিলনে সাফল্যের কি সম্পর্ক আছে

ব্যায়াম করে ফিট হলে আপনার কাছে আসবো কেন ইত্যাদি ইত্যাদি। এ ধরনের প্রশ্নে আমি বেশি সময় নিয়ে কথা বলি। এই উদাহরণটি প্রায়শই দেই যেবিশ্বখ্যাত ফুটবল তারকা রোনালদো বারোনালদিনহোর কথাই ধরা যাক। শরীর যদি ফিট না থাকে কত বাজে পারফরম্যান্স হতে পারে তা এই দুই বিশ্ব তারকার অনেক খেলায় দেখা গেছে। রোনালদোকে আমি কখনোই টেলিভিশনের পর্দা ছাড়া দেখিনি। কিন্তু রোনালদিনহোকে দেখেছি স্পেনের বার্সিলোনাতে। তাও খেলতে নয়অনুশীলন করতে। কঠোর পরিশ্রমী এই কৃতি খেলোয়াড়ের অনুশীলন দেখে যে কেউ বুঝতে পারবে তার বাহু ও পায়ের জোর কতখানি হতে পারে। আর এই কৃতি খেলোয়াড় যদি এক মাস অনুশীলন না করে মাঠে নামেন তবে পারফরম্যান্স কেমন হবে তাও ভাবা যায়। এভাবে স্বামী-স্ত্রীর কাঙিক্ষত ফলাফলের জন্যও শরীরটাকে ফিট রাখা দরকার। তরুণ বয়সে হয়ত শরীর ঠিকনা রেখেও ভালো ফল পেয়েছেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে বয়স যত বাড়বে ততই শরীরের ফিটনেস বেশি দরকার। আর শরীর ফিট রাখতে ব্যায়ামের কোন বিকল্প নেই প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা ভালো। তবে যারা ৫০ থেকে ৬০ মিনিট বা এক ঘন্টা ব্যায়াম করতে পারেন তাদের শরীর বেশি ফিট থাকে। তাই বলে কঠোর শারীরিক পরিশ্রম অথবা দীর্ঘসময় ব্যায়াম করার অব্যবহিত পরপরই স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক স্থাপন ঠিক নয়। ব্যায়াম করার সময় শরীরের রক্ত চলাচল বেড়ে যায়অনেক ক্ষেত্রে খানিকটা রক্ত চাপও বাড়ে। ব্যায়ামের পর শরীর স্বাভাবিক হতে অন্তত তিনঘন্টা সময় লাগে। ব্যায়াম পুরুষের ফিটনেস দুইভাবে বাড়ায়। এক• নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীর গঠনে সহায়ক হয় এবং শরীরে এনার্জি বা শক্তি বাড়ে। দুই• নিয়মিত ব্যায়াম করলে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় এবং রক্তের ভাসমান ভর্তি হ্রাস করে। সব সময় মনে রাখতে হয় রক্তে চর্বিতে চর্বি যত কম তার ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রীর মিলনে দীর্ঘসময় লাভে তত সহায়ক। শুধু চর্বি কম থাকলে চলবে নাউচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসও মুক্ত থাকতে হবে। ডায়াবেটিস কিভাবে স্বামী-স্ত্রীর মিলনে সমস্যা তৈরি করে তা আর একদিন লিখবো। মনে রাখতে হবে পুরুষের মিলনের ক্ষেত্রে একমাত্র রক্ত প্রবাহই মুখ্য ভূমিকাপালন করে। সম্পূর্ণ মানসিক ও শারীরিক প্রস্তুতি থাকলে রক্ত প্রবাহের মাধ্যমে পুরুষ তার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করে। যদি কোন কারণে বিশেষ স্থানে রক্ত প্রবাহ যদি ঠিকমত না হয় অথবা রক্ত প্রবাহিত হবার পর দ্রুত বের হয়ে আসে তাহলেও স্বামী-স্ত্রীর মিলন দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে না। আর শরীরে রক্ত প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী অন্য কোন রোগ না থাকলে ব্যায়ামের মাধ্যমেই শরীরটাকে ফিট রাখা যায় এবং কাঙিক্ষত ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় রক্ত প্রবাহ তৈরি হয়ে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। ব্যায়াম শুধু শরীর গঠনে সহায়ক তাই নয়ব্যায়াম রক্তনালীতে চর্বি জমতে দেয় না। ফলে হার্টের রক্তনালীতে ব্লক সৃষ্টির ঝুঁকি কম থাকে। তাই শরীরটাকে ফিট রাখার জন্য পুরুষের নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত। একটি উদাহরণ দিয়েই লেখাটি শেষ করবো। গত সপ্তাহে চেম্বারে একজন রোগী পেলাম যার বয়স ৮০ বছর। শারীরিক সমস্যা বা যৌন সমস্যা নিয়ে এত বয়সের রোগী আর আসেনি। এর আগে ৭৬ বছর বয়সী এক রোগীকে পেয়েছিলাম আমার ধারণা ছিল বয়োজেষ্ঠ এই পুরুষ যাকে আমি চাচা বলে সম্বোধন করেছি চাচার মুখে অনেকগুলো সেবোরিক ক্যারাটোসিস বা পুরু কালো চামড়া ছিল অনেকটা ফ্লাট আঁচিলের মত। ভেবেছিলাম এগুলো সরাতে চান। কারণ ইদানীং বেশকিছু বয়সী পুরুষ রোগী আসছেন মুখের দাগআঁচিলতিলপুরু চামড়া সরাতে এদের মধ্যে একাধিক রাজনীতিবিদসাবেক সচিবসিনিয়র সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের নেতা রয়েছেন। আমার ধারণা আজকাল স্যাটেলাইট চ্যানেলে এসব ভিআইপি পুরুষ রোগীদের প্রায়শই দেখা যায়। তাই হয়ত মুখের এই পরিচর্যা। যাহোকচাচাকে জানতে চাইলাম কি সমস্যা। হেসে বললেনবয়স হয়েছে কিন্তু ইচ্ছাটা এখনো রয়েছে। এই বয়সের রোগীদের জন্য কোন চিকিসা আছে কিনা। যাহোক চাচার সঙ্গে প্রায় ৪৫ মিনিট আলাপ করলামচাচা জানালেন৭০/৭২ বছর পর্যন্ত ভালো ছিলেন। তার স্ত্রীর বয়স ৫০ এবং তাদের ৮টি সন্তান রয়েছে। চাচা এটাও জানালেন এই বয়সেও তিনি প্রতিদিন ফজরের নামাজ শেষে হাঁটতে অভ্যস্ত। মেনে চলেন নানা নিয়ম-কানুন। এই বয়সেও তাকে উচ্চ রক্তচাপ,ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল স্পর্শ করতে পারেনি। চাচার মত শক্ত সামর্থ্য শরীর রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন পরিমিত আহার করুন


নেট থেকে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Twitter Bird Gadget