পাঠকের কাছে অনুরোধঃ এটা একটা শিক্ষনীয় ব্লগ।এই ব্লগ/ওয়েবকে চটি সাইট মনে করার কোন অবকাশ নাই। আমাদের প্রতিদিনের জীবনে আমরা যৌনতা সম্পর্কে কি এবং কতটুকুই বা জানি? পশ্চিমা দেশের ১৬-১৮ বছরের ছেলে-মেয়েরা যৌনতার ব্যাপারে যা জানে, আমাদের দেশে বিয়ের ১৫ বছর পরে ও আমরা তা জানতে পারিনা, বুঝতে পারিনা। তাই আমার এই প্রচেষ্ঠা। এই ব্লগের লেখা দিয়ে যদি কারো কোন উপকার হয়, তাহলেই আমার কষ্ট সার্থক হবে। পুনশ্চঃ ব্লগটি চালু রাখতে, ডোনেশন করুন।আপনার ছোট্ট একটু কমেন্ট আমাকে অনেক প্রেরনা দেবে।দয়া করে Facebook এ একটা Like দিন। সবাইকে ধন্যবাদ।

শনিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১০

আগে ডাক্তার পরে বিয়ে -৩

রক্তরোগ

বিয়ের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ হলো রক্তের রোগ নির্ণয়, রক্তের গ্রুপ নির্ণয়। রক্তের গ্রুপের ভিন্নতার কারণে পারিবারিক জীবনে কিছু জটিলতা হতে পারে। যাঁদের রক্তে আরএইচ ফ্যাক্টর নেই তাঁদের রক্তের গ্রুপ 'নেগেটিভ' বলা হয়, যেমন এ নেগেটিভ, বি নেগেটিভ ইত্যাদি। নেগেটিভ গ্রুপধারী কোনো নারীর সঙ্গে পজিটিভ গ্রুপধারী পুরুষের বিয়ে হলে তাঁদের সন্তান জন্মদানের সময় জটিলতা হতে পারে। এমন ক্ষেত্রে গর্ভপাত হয়ে যেতে পারে। শিশুর মৃত্যু হতে পারে। এর পাশাপাশি থ্যালাসেমিয়া, হিমোফিলিয়া, রক্তের কোনো অসুখ আছে কি না পরীক্ষা করে জেনে নিতে হবে।

পরীক্ষায় খারাপ কিছু পাওয়া গেলে

এ ক্ষেত্রে নেগেটিভ চিন্তা বাদ দিয়ে আমাদের ভালো দিকটিকেই বেছে নিতে হবে। কারণ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চিকিৎসা করে ভালো হওয়া সম্ভব।
তবে এইডস বা এমন কোনো প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হলে তা গোপন না রেখে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকুন। যার সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছে বা যাকে জীবনসঙ্গী ঠিক করছেন তাঁকে বিষয়টি জানান। গোপন করবেন না।
জেনেটিক কাউন্সেলিং:

জেনেটিক পরীক্ষা করে জানা সম্ভব আপনার মধ্যে কী ধরনের সমস্যা আছে। আপনার সমস্যা সন্তানকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে কি না সেটাও জানা সম্ভব। এ জন্য স্ক্রিনিং টেস্ট করতে হয়। সাধারণত আত্মীয়দের মধ্যে বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে বা বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর জেনেটিক সমস্যার কথা বা বন্ধ্যত্বের কথা জানা গেছে, সে ক্ষেত্রে স্ক্রিনিং টেস্ট করা হয়।

- বিয়ের আগে যদি জেনেটিক ত্রুটির কথা জানা যায়, তবে আপনারা বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

- আপনারা যদি বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন, সে ক্ষেত্রে বাচ্চা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। তাই চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। তাঁর পরামর্শ নিন। সঙ্গীর সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করুন।
চলবে,,

- এর পরও যদি আপনারা বাচ্চা নিতে চান, তবে গর্ভকালীন প্রিনেটাল স্ক্রিনিং করাতে হবে। এতে বাচ্চা ওই জেনেটিক সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে কি না তা আগে থেকে জানা যাবে। যদি শিশুর মধ্যে ওই সমস্যা না থাকে, তবে কোনো ভয় নেই। তবে শিশুর মধ্যে জন্মগত ত্রুটির লক্ষণ পাওয়া গেলে অ্যাবরশন করানোর প্রয়োজন হতে পারে। কারণ একটি শিশু যদি জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্মগ্রহণ করে, তবে তার সেই কষ্ট বহন করতে হবে পুরোটা জীবন_এটা ভেবে দেখতে হবে।

- এত কিছুর পরও যে বিষয়টি লক্ষ করতে হবে, যদি জন্মগত ত্রুটি নিয়ে বাচ্চা জন্ম নেয় তবে তার সার্বিক পরিচর্যার জন্য পারিবারিক, সামাজিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। পিছিয়ে যাওয়া যাবে না। কারণ এরা আপনাদের সন্তান ও আপনাদের জেনেটিক সমস্যার কারণে তারা ক্ষতিগ্রস্ত।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Twitter Bird Gadget