পাঠকের কাছে অনুরোধঃ এটা একটা শিক্ষনীয় ব্লগ।এই ব্লগ/ওয়েবকে চটি সাইট মনে করার কোন অবকাশ নাই। আমাদের প্রতিদিনের জীবনে আমরা যৌনতা সম্পর্কে কি এবং কতটুকুই বা জানি? পশ্চিমা দেশের ১৬-১৮ বছরের ছেলে-মেয়েরা যৌনতার ব্যাপারে যা জানে, আমাদের দেশে বিয়ের ১৫ বছর পরে ও আমরা তা জানতে পারিনা, বুঝতে পারিনা। তাই আমার এই প্রচেষ্ঠা। এই ব্লগের লেখা দিয়ে যদি কারো কোন উপকার হয়, তাহলেই আমার কষ্ট সার্থক হবে। পুনশ্চঃ ব্লগটি চালু রাখতে, ডোনেশন করুন।আপনার ছোট্ট একটু কমেন্ট আমাকে অনেক প্রেরনা দেবে।দয়া করে Facebook এ একটা Like দিন। সবাইকে ধন্যবাদ।

শনিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১০

আগে ডাক্তার পরে বিয়ে -১

বিয়ের ব্রপারে আমাদের একটু সচেতনতাই পারে বহু মারাক্তক রোগ হইতে নিরাপদ রাখতে। নিজেরা সচেতন হই, অন্রকে সচেতন করি। বিয়ে শব্দটির সঙ্গে রোমাঞ্চকর সুখানুভূতি জড়িয়ে আছে। কিন্তু বিয়ে শুধু দুটি মানুষের মধ্যে মিলনই নয়; বরং এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে তাঁদের পরিবার এবং তাঁদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। চিকিৎসাবিজ্ঞানের অগ্রগতি আমাদের সুযোগ করে দিয়েছে হবু স্বামী-স্ত্রী এবং তাঁদের পরিবারের স্বাস্থ্যসম্পর্কিত তথ্য যাচাই করে এমন একটি পরিবার তৈরি করার, যাতে তাঁরা উপভোগ করবেন নির্ভার-নিশ্চিন্ত জীবন, আবার তাঁদের ভবিষ্যৎ বংশধররাও হবে অনেক রোগ থেকে মুক্ত ও স্বাস্থ্যবান। সাধারণ স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছেলেমেয়ের বয়স বেশি না কম, শারীরিক উচ্চতা, ওজন, রক্তচাপ, মেয়েদের ক্ষেত্রে মাসিকের কোনো সমস্যা, হেপাটাইটিসসহ সব টিকা দেওয়া আছে কি না, বিড়ি-সিগারেট, মদ-গাঁজা বা অন্য কোনো নেশা করে কি না, মানসিক অবস্থা ঠিক আছে কি না জেনে নিতে হবে। বিয়ের ক্ষেত্রে বয়স খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ছেলেদের ক্ষেত্রে বেশি বয়সে বিয়ে হলে ইনফার্টিলিটি বা বন্ধ্যত্ব হতে পারে। বিদেশে পরিচালিত কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, বেশি বয়সী বাবাদের সন্তানদের বেশ কিছু সমস্যা হতে পারে। মেয়েদের বেশি বয়সে বিয়ে হলে সন্তান শারীরিক-মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়াসহ জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্ম নিতে পারে। মেয়েদের ক্ষেত্রে বলা হয়, তিরিশের পরে প্রথম বাচ্চা নেওয়াটা খুবই ঝুঁকির ব্যাপার। তাই যাঁদের বেশি বয়সে বিয়ে হবে তাঁদের এই ঝুঁকির মধ্যে থাকতে হবে। যেটা শুধু তাঁর নিজের নয়, সন্তানের জন্যও বিপদের কারণ হতে পারে। আবার মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে হলেও বেশ কিছু স্বাস্থ্যঝুঁকি হতে পারে। অল্পবয়সী মেয়েদের ক্ষেত্রে গর্ভধারণ খুব ঝুঁকির ব্যাপার। আমাদের দেশে মাতৃমৃত্যুর অন্যতম বড় কারণ অল্প বয়সে সন্তান ধারণ। তাই বিয়ের জন্য বয়স বিবেচনা করাটা খুব জরুরি। এ ক্ষেত্রে ছেলেমেয়ের বয়সের পার্থক্যের দিকটিও লক্ষ রাখতে হবে। বিয়ে শারীরিক ও মানসিক সফলতার জন্য পাত্রপাত্রীর বয়সের পার্থক্য ১০ বছরের মধ্যে থাকাটা ভালো। বংশগত রোগ সাধারণত যে ধরনের বংশগত রোগ বেশি দেখা যায় সেগুলো হলো থ্যালাসেমিয়া, মাসকুলার ডিসট্রফি (মাংসপেশিতে একধরনের দুর্বলতা), নার্ভের বিশেষ কয়েকটি অসুখ, এপিলেপ্টিক ডিজঅর্ডার (মৃগী রোগ), মানসিক অসুস্থতা_যেমন সিজোফ্রেনিয়া, ডিপ্রেশন, সিস্টিক ফাইব্রোসিস, বিশেষ কয়েক ধরনের ক্যান্সার, যেমন ব্রেস্ট ক্যান্সার, ফুসফুসের ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার, কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ (উচ্চ রক্তচাপ ও স্ট্রোক), ডায়াবেটিস, অস্টিওপোরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ওবেসিটি, অ্যাজমা, গ্লুকোমা ইত্যাদি। সন্তানদের মধ্যে সংক্রমিত হয় এমন কিছু বংশগত রোগ রয়েছে, যা শারীরিকভাবে প্রকাশিত না-ও হতে পারে। মূলত শারীরিকভাবে প্রকাশিত হয় না এমন রোগের জন্য পরীক্ষা করা প্রয়োজন। বিশেষ করে বিয়ে আত্মীয়দের মধ্যে হলে বা একই গোত্রভুক্ত হলে বিয়ের আগেই এ ধরনের পরীক্ষা করা জরুরি। বংশগত রোগের ক্ষেত্রে যেমন মা-বাবা দুজনের জিন থেকে অসুখ দেখা দেয়, আবার অনেক সময় মা-বাবা কোনো একজনের জিন থেকেও অসুখ হতে পারে। ছেলেমেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই বংশগত বা হেরিডিটারি ডিজিজের সমস্যা হতে পারে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে যেমন হিমোফেলিয়ার (রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা) সমস্যা, কালার ব্লাইন্ডনেসের মতো সমস্যা অনেক সময় মায়ের থেকে ছেলের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। এ ক্ষেত্রে সাধারণত মেয়েসন্তানরা আক্রান্ত হয় না। এমন অনেক ক্ষেত্রে জেনেটিক রোগ মহিলাদের মাধ্যমে পরিবাহিত হয় যেগুলো তারা বহন করে, কিন্তু রোগটি তার ক্ষেত্রে প্রকাশ পায় না। এটা ছেলেসন্তানদের মধ্যে সংক্রমিত হলে ক্ষতিকর হতে পারে। শরীর থেকে রক্ত বা টিস্যু নিয়ে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে এ রোগগুলো নির্ণয় করা হয়।
চলবে..........

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Twitter Bird Gadget