পাঠকের কাছে অনুরোধঃ এটা একটা শিক্ষনীয় ব্লগ।এই ব্লগ/ওয়েবকে চটি সাইট মনে করার কোন অবকাশ নাই। আমাদের প্রতিদিনের জীবনে আমরা যৌনতা সম্পর্কে কি এবং কতটুকুই বা জানি? পশ্চিমা দেশের ১৬-১৮ বছরের ছেলে-মেয়েরা যৌনতার ব্যাপারে যা জানে, আমাদের দেশে বিয়ের ১৫ বছর পরে ও আমরা তা জানতে পারিনা, বুঝতে পারিনা। তাই আমার এই প্রচেষ্ঠা। এই ব্লগের লেখা দিয়ে যদি কারো কোন উপকার হয়, তাহলেই আমার কষ্ট সার্থক হবে। পুনশ্চঃ ব্লগটি চালু রাখতে, ডোনেশন করুন।আপনার ছোট্ট একটু কমেন্ট আমাকে অনেক প্রেরনা দেবে।দয়া করে Facebook এ একটা Like দিন। সবাইকে ধন্যবাদ।

সোমবার, ১৪ জুন, ২০১০

বিবাহোন্মুখ পোলাপাইনদের জন্য অবশ্যপাঠ্যঃ প্রয়োজনীয় বিবাহ প্রস্তুতি (পর্ব-৩)

করনীয় ৪: লুব্রিকেন্ট বা জেল কিনে রাখুন।ভালো কোন ফার্মেসী থেকে লুব্রিকেন্ট কিনে রাখুন। বন্ধুরাও অনেক সময় গিফট দেয়, কিন্তু সে আশায় বসে থাকলে বিপদ। এই লুব্রিকেন্ট বলতে গাড়ীর লুব্রিকেন্ট বুঝানো হয় নি। এটা সার্জিক্যাল জেল। ভালো মানের একটা লুব্রিকেন্টের নাম বলি। জনসন এন্ড জনসনের "KY Gelly"। বড় ফার্মসীগুলোতে পাবেন, KY Gelly বল্লেই দিবে। আর এক টিউব দিয়ে দশ-বারোজন বন্ধুর সংসার শুরু হয়ে যাবে। কারন একজনের বেশি লাগে না।এই সার্জিকেল জেল না পেয়ে অনেকে নারিকেল তেল, গ্লিসারিন ইত্যাদি ব্যবহার করে। এদুটোই কিন্তু রাফ, ইভেন কনডম ফেটে যেতে পারে। গ্লিসারিন কখনও র' অবস্থায় ইউজ করবেন না। পানি মিশিয়ে ব্যবহার করুন। তবে গ্লিসারিনের ব্যবহার সাধারনত নিরুৎসাহিত করা হয়।কেন ও কি ভাবে ব্যবহার করবেন:আমরা সবাই কম বেশি জানি যে অনাঘ্রাতা মেয়েদের যৌনাংগের প্রবেশপথটা খুব সরু থাকে। অর্থ্যাৎ চাইলেই সহজে সেখানে আপনার অংগ প্রবেশ করবে না। এর সাথে আছে হাইমেন বা বা সতিচ্ছেদ বা পর্দার প্রতিরোধ। তাই প্রথমদিকে প্রবেশ করাতে ব্যর্থ হয়ে অনেক হতাশ হয়ে পড়ে। এটা নিয়ে টেনশন না করে আপনি প্রথমে আপনার এসাইনমেন্ট ঠিক করুন "প্রবেশ করাতে হবে"।এই সরু পথে জোর করেই প্রবেশ করতে হবে, জোর করা মানেই শক্তি প্রয়োগ, এবং স্বাভাবিক ভাবেই এতে আপনার সংগীনি ব্যাথা পাবে। তাই শক্তি প্রয়োগটা গোয়াড়ের মত না করে ভালোবাসার সাথে করুন। দুইস্থানেই জেল লাগিয়ে এবার চেষ্টা করুন, একদিনে না হলে দুইদিনে হবে। আরো এক/দুইদিন বেশি লাগলেও পরিশ্রম কমবে, দুঃশ্চিন্তা কমবে, ব্যাথা কম পাবে, শুরু করা যাবে তাড়াতাড়ি।কিছু ভুল ধারনাঃপ্রথমতঃ অনেকে প্রথম প্রবেশের সময় নববধুর কুমারিত্বের পরীক্ষা নেয়ার ইচ্ছাও মনে মনে পোষন করে। ভুলেও একাজ করবেন না। একটা প্রচলিত ধারনা আছে কুমারী বা অনাঘ্রাতা মেয়ে মানেই সতিচ্ছেদ বা হাইমেন থাকবে, তাই স্বামীই সেটা বিদীর্ন করে বউনি করবে। এটা এই যুগে হাস্যকর। সাইকেল চড়লে-দৌড়াদৌড়ি-খেলাধুলা করলে হাইমেন ফেটে যাবেই, তাই সেটা ন্যাচারাল, স্বামীকে দায়িত্ব নিতে হবে না। কেউ হাইমেনের উপস্থিতি না পেলে আবার নববধু সম্বন্ধে খারাপ ধারনা করে বসে থাকবেন না।দ্বিতীয়তঃ আর একটা ভুল ধারনা হলো রক্তপাত না হলে মেয়ে কুমারী না। এটা বিশ্বাস করা মুর্খতার সামিল। যদি হাইমেন ফেটে গিয়ে থাকে আগেই, বা আপনি যদি লুব্রিকেন্ট ইউজ করেন তবে অনেক সময়ই রক্তপাত নাও হতে পারে। তাই এসব কোন মানদন্ড না।তৃতীয়তঃ বিভিন্ন পর্নো কাহিনী পড়ে অনেকের ধারনা হয় যে সেক্স করার সময় যোনীপথ পিচ্ছিল কামরসে ভেজা থাকবে, তাই উঠো..যাতো, আলাদা লুব্রিকেন্ট ইউজের প্রয়োজন নেই। আসলে ব্যাপারটা তা না। এই ফ্লুইডটা বের হবে উত্তেজিত হলেই। আর নতুন নতুন বাবা-মাকে ছেড়ে আসা ভয়-শংকা-লজ্জায় থাকা একটা মেয়ের পক্ষে উত্তেজিত হওয়া এত সহজ না। ইভেন অনেকে তো প্রথম প্রথম কোন অনুভুতিই পায় না। তাই ফ্লুইড না বের হলে ভয়ের কিছু নেই, সময় নিন কয়েকদিন, এমনিই ঠিক হয়ে যাবে।চতুর্থতঃ স্তনের স্থিতিস্থাপকতা ও কোমলতা দেখেও অনেকে টাচড-আনটাচড কন্ডিশন বের করতে চান। শক্ত-টানটান হলে নাকি আনটাচড। এটা সবচে বড় বোকামী। আমাদের মেয়েরা এমনিতেই শারীরিকভাবে নরম প্রকৃতির। তাই স্তনও নরম হতে পারে। মুভির নায়িকার টান-টান বুক বউয়ের কাছে আশা করবেন না, কারন বুক টানটান রাখতে শোবিজের লোকেরা অনেক টাকা খরচ করে, কসরত করেপঞ্চমতঃ টিনএজ থেকেই হস্ত-মৈথুনে অভ্যস্ত ছেলেরা অনেক সময় বিয়ের করতে ভয় পায়। মঘা-ইউনানীর লিফলেট পড়ে আবিস্কার করে তার "আগা মোটা গোড়া চিকন",তাই তাকে দিয়ে স্ত্রীকে সুখ দেয়া সম্ভব হবে না। এটা নির্মম রসিকতা। এসব নিয়ে টেনশন না করে লাফ দিয়ে নেমে যান বিয়ে করতে। এত মানুষ দেখেন আশে পাশে সবাই কি ধোয়া-তুলসি পাতা?সবাই অনাঘ্রাতা বউই চাই আমরা। আর নিজে যদি অভিজ্ঞতাহীন হই, তবে একই আশা করবো নববধুর কাছ থেকে। সর্বোপরি কারও যদি সন্দেহপ্রবন মন থাকে, তবে সব কিছু ক্লিয়ার হয়ে নেয়া উচিত আগেই। এনগেজমেন্ট বা বিয়ের আগেই মেয়ে সম্বন্ধে সব খোজ-খবর নিয়ে নিন। বিয়ের পর আর এসব নিয়ে মাথা ঘামাবেন না। মনে রাখবেন, সন্দেহের পোকা একবার মনে ঢুকলে সেখানেই বাসা বেধে বসে যাবে। তাই আগে থেকেই সব ক্লিয়ার হোন। বিয়ের পর নো টেনশন আগের ব্যাপার নিয়ে। ভালবাসতে শুরু করুন যেভাবে পেয়েছেন সে অবস্থা থেকেই।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Twitter Bird Gadget